(০১)
ঘাসফড়িংয়ের পাঠশালা
-বিচিত্র কুমার
পিন্টু ছিল এক দুষ্টু ঘাসফড়িং। সারাদিন খেলে বেড়াত, পড়াশোনার প্রতি তার কোনো আগ্রহ ছিল না। মা বারবার বলত, “পড়ো পিন্টু, জ্ঞান ছাড়া চলবে না।” কিন্তু পিন্টু হাসত, “আমি তো লাফিয়ে চলতে পারি, পড়ার দরকার কী?”
একদিন খেলতে খেলতে পিন্টু একটা পাথরের ফাঁকে আটকে গেল। অনেক চেষ্টা করেও বের হতে পারছিল না। তখন পিঁপড়ে দিদিমণি এসে বলল, “পিন্টু, বুঝেছো পড়াশোনার গুরুত্ব? পথ চিনতে না পারলে বিপদে পড়বে।”
পিন্টু লজ্জা পেল। সে দিদিমণির কাছ থেকে অক্ষর শেখা শুরু করল। কয়েকদিনেই সে ‘দিক’, ‘পথ’, ‘সতর্কতা’ এসব শব্দের মানে বুঝে ফেলল। এরপর আর ভুলপথে পড়ত না।
দিন দিন পিন্টু এমনই বুদ্ধিমান হয়ে উঠল যে অন্য ঘাসফড়িংরাও তার কাছে পড়তে আসত। দিদিমণি বলল, “দেখেছো, জ্ঞান শিখলে তুমি শিক্ষকও হতে পারো!”
(০২)
পিঁপড়ে রানীর ঐক্যের মিছিল
-বিচিত্র কুমার
বনের পিঁপড়ে রানী দেখলেন, তাদের বাসা বারবার বাতাসে উড়ে যাচ্ছে। সবাই আলাদা আলাদা করে বাসা গড়ার চেষ্টা করছে, তাই কোনোটিই টিকছে না।
তখন রানী ডেকে বলল, “তোমরা একসঙ্গে কাজ করো।”
সব পিঁপড়েরা মিলে শক্ত করে মাটির নিচে বাসা বানালো। এবার বাতাস যতই প্রবল হোক, বাসা আর উড়ল না। সবাই বুঝল, একা একা নয়, একসঙ্গে কাজ করলেই প্রকৃত শক্তি তৈরি হয়।
(০৩)
কাঠবিড়ালির ধৈর্য শিক্ষা
-বিচিত্র কুমার
কাঠবিড়ালি টিকু ছিল খুবই চঞ্চল। সে চায় যেকোনো কাজই যেন এক ঝটকায় হয়ে যায়। গাছে চড়তে গেলে পড়ে যায়, বাদাম ভাঙতে গেলে ধৈর্যহীন হয়ে অন্যেরটা নিতে চায়।
একদিন সে দেখল, দাদাবুড়ো কাঠবিড়ালি একটা শক্ত বাদাম ধীরে ধীরে দাঁত দিয়ে কাটছে। টিকু হেসে বলল, “এত সময় লাগলে কি বাদাম খাওয়া যায়?” দাদাবুড়ো বলল, “ছোট্ট টিকু, ধৈর্য না থাকলে জীবনের মিষ্টি স্বাদও বুঝতে পারবে না।”
টিকু তখন নিজে চেষ্টা করতে লাগল। প্রথমে দাঁত ব্যথা পেলেও হাল ছাড়ল না। অনেক কষ্টে বাদাম ভেঙে যখন খেতে পারল, তখন সে বুঝল নিজের চেষ্টায় পাওয়া জিনিসের স্বাদই আলাদা।
নামঃ বিচিত্র কুমার
গ্রামঃ খিহালী পশ্চিম পাড়া
পোস্টঃ আলতাফনগর
থানাঃ দুপচাঁচিয়া
জেলাঃ বগুড়া
দেশঃ বাংলাদেশ
মোবাইলঃ 01739872753
https://www.facebook.com/profile.php?id=100014642137028&mibextid=ZbWKwL