Skip to content

তাৎপর্য ১ সাফল্যের শত সিঁড়ি – ডা কাজী আনোয়ার হোসেন বাঘাবারো

“সাফল্যের শত সিঁড়ি ” ঔপন্যাসের নায়ক নূর স্বপ্নে মুন্যুষত্বপুরে ভ্রমণে যায় এবং
ভ্রমণ শেষে যে শিক্ষা পায়, যে সুখ অনুভব করে তা পরের দিন প্রধান অতিথির ভাষণে জনসম্মুখে ব্যক্ত করে। তখন সাংবাদিক সে কথা পেপারে ছাপায়। সে কথা হলোঃ
সে দেশে ” বাঘাবারো তন্ত্র ” অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হয় । নির্বাচন করা সব দল মিলে দেশ পরিচালনা করে। তাই কোন দলের মানুষই দুখে থাকে না। কোন দলই অন্য কোন দলের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ করে না। সব দলই দেশ ও মানুষের শান্তি চায়। সে কারণেই সব দল সব দলের প্রতি সম্মান দেখায়।যাঁর কারণে হরতাল, জ্বালাও পোড়াও নাই। প্রতি বছর জনমত যাচাই হয়। ৫০% এর বেশি লোক সম্মতি প্রকাশ করলে মহান নায়ক ৫ বছর ক্ষমতায় থাকে। ৫০% এর নীচে জনমত সম্মতি থাকলে মহান নায়ক পদত্যাগ করে। আর পদত্যাগকারী সে দেশে সবচেয়ে সম্মানী ও সরকারি ভাতা পায়। তাই কেউ ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করে না। সকল ধর্মই সমান। সকল ধর্মই বিশ্বাস করে সবার উপরে মানুষের মুন্যুষত্ব। মানুষই শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষের স্রষ্টা আছে। আর তা ধর্মের সত্য বাণীর মাধ্যমে এবং প্রাকৃতিক শক্তির শান্তি ও অন্যায় কারীর উপরে গজব স্রষ্টার অস্তিত্ব বলে। সত্যের পথে থাকলে তাঁর দুখ নাই আর মিথ্যার পথে থাকলে সুখ নাই। তাই জীবের প্রতি ভালবাসা আর মানুষের প্রতি সহানুভূতি সে দেশের মুল মন্ত্র। তাঁরা খাবার বেঁচে গেলে প্রতিবেশীদের দেয়, পশু পাখি দের দেয়। বলে পশুপাখি তোরা মাফ করে দিস। পাপকে তারা ভয় পায়। তাঁদের প্রতিযোগিতা নেকি করার প্রতিযোগিতা। যে ব্যক্তি স্রষ্টার উপাসনা করে, দান করে, বিপদে আপদে সকলের পাশে দাঁড়ায় তাঁকে সবাই বলে আল-আমিন বান্দা। যাঁর কারণে সে দেশে সুখ আর সুখ। সে দেশে সকল মানুষ শিক্ষিত। সবাই সত্য ও নিষ্ঠা নিয়ে চলে। শিশুরা পঞ্চম শ্রেণি পাশ করলেই সরকার তাঁর নিজের আয়ত্তে নিয়ে সরকারি তত্বাবধানে শিশুদের মেধা অনুযায়ী যে যে বিষয় পড়তে সমর্থ তাঁকে সে বিষয়ে পড়ায়ে উচ্চ শিক্ষিত করে। সে জন্য সরকার শিশুর অবিভাবকদের থেকে প্রতি মাসে এক হাজার করে টাকা নেয়। বাকি টাকা সরকার বহন করে। অসুখ বিসুখের জন্য জনপ্রতি প্রতি মাসে একহাজার করে আমৃত্যু পর্যন্ত টাকা নেয় তাই অসুখ হলে রোগির সমস্ত খরচ সরকার বহন করে। প্রত্যেক নাগরিকদের জমি সরকার লিজ নিয়ে সরকারি তত্বাবধানে যে সব শিক্ষিত কম মেধাবী তাদের চাকরি দিয়ে তাদের দিয়ে ফসল তৈরি করে। তাই কারো জমি কেউ নিজে চষতে পারে না। সরকার চষে। সে কারণে সরকার প্রতি মাসে খাবার বাবদ এক হাজার করে টাকা নেয়। বিনিময়ে সরকার চাউল,ডাল, তেল মসলা কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রদান করে। যাতায়াতের জন্য সরকারি যানবাহন থাকে। কারো মালিকা ধিন যানবাহন নাই। এসব যানবাহন যে সব শিক্ষিত কম মেধাবী তাদের চাকরি দিয়ে চালানো হয়। যাতায়াতের জন্য কাউকে টাকা দিতে হয় না। কারণ যাতায়াতের জন্য সরকার প্রতি মাসে জনপ্রতি এক হাজার টাকা নেয়। সেদেশের মানুষেরা পোশাক, মাছ,মাংস, আসবাবপত্র ও বাসস্থান নিজের টাকা দিয়ে করে। সবাই শিক্ষিত ও চাকরি করে বলে কেউ মূর্খ নয়। তাই কেউ নেশাগ্রস্ত চোর , ডাকাত, সন্ত্রাসী নয়। মেয়েরা বাড়ি থাকে তারাও উচ্চ শিক্ষিত। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে মেয়েরা মায়ের সাথে থাকে আর অবসর প্রাপ্ত বৃদ্ধরা বাড়িতে থাকে। তাই আড্ডা দেওয়ার মত কোন ছেলে বা মেয়ে থাকে না। তাই ইভটিজিং, ধর্ষন, বেবি চারী কোথাও কখনো হয় না। গ্রাম গঞ্জে বা শহরে স্বেচ্ছাসেবক আত্মাত্যাগী ও স্বেচ্ছাসেবক স্রির (পুলিশ) সব সময় প্রতি জন মানুষের অসুখ, মৃত্যু , দূর্যোগ, সমস্যা সমাধানে নিয়োজিত ও দুই ঘন্টা পরপর রাস্তায় টহল দেয় এবং ৫০০ মিটার পরপর মানুষের সাথে তাদের যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বার থাকে।
কোন সমস্যা হলেই হাসপাতে নিবে, আগুন লাগলে দমকল ডাকবে, সকল ধর্মের সমান অধিকার ও তাদের মৃত্যুতে যে ধর্মের যে প্রথা সে ভাবে সরকারি তত্বাবধানে সৎকার করবে। মুন্যুষত্ব পুরে প্রধান মন্ত্রী – মহান নায়ক, মন্ত্রী – দীক্ষক, এমপি – দক্ষক, প্রতি মন্ত্রী- পার্শ্ব দীক্ষক, মহান নায়কের- ১১ জন পার্শ্ব নায়ক যথা ১) সমন্বয় নায়ক, ২) সাম্য নায়ক ৩) ধী- নায়ক ৪) ক-ধী নায়ক ৫) খ- ধী নায়ক, ৬) গ-ধী নায়ক, ৭) ঘ- ধী নায়ক, ৮) চ- ধী নায়ক, ৯) ছ- ধী নায়ক, ১০) জ – ধী নায়ক, ১১) ঝ-ধী নায়ক। সৈন্যকে- বীর, বীর প্রধান -মহা বীর, পুলিশ – স্রির, স্রির প্রধান – মহা স্রির, বিমান বাহিনী- প্রলয়, প্রলয় প্রধান- মহা প্রলয়, ছাত্ররা – রক্ষক, শিক্ষক- ধী- জন্ম দাতা, নৌবাহিনী- চৌকস, চৌকস প্রধান – মহা চৌকস, স্পিকার- আহবায়ক, সচিবালয়- নিষ্ঠালয়, সচিবালয় কর্মচারী- নিষ্ঠা, সংসদ- শান্তিলয়,

মন্তব্য করুন