স্বাগতম স্বাগতম বলাটায় কেমন প্রচারের লুক্কায়িত প্রয়াস,আন্তরিকতা নিঃসাড়ে বিলাপে, তবে কি মৃত্যুর মতোই না ফেরার দেশে! লাইব্রেরিতে বইয়ের হিসেব রাখতে রাখতে নজর যাচ্ছে বয়স্ক যুবাদের বাক্যালাপের নানারকম বিষয়ে– অশোক দা বলেই পরিচিত মানুষটা, এখানে যারা আসে তাদের কাছে; স্বাগতম লেখা হোডিং এর এপাশে ওপাশে লেখা বই এখানে বসিয়াই পড়িবেন,বাড়ি লওয়া নিয়ম বিরুদ্ধ সদস্যদের জন্যে মাসিক মেম্বারশিপ চাঁদা মাত্র এতো অর্থাৎ “সংখ্যায় লেখা কত টাকা দিতে হবে”, কোরনার পরে অল্পদিনের ব্যবধানে দুবার বাড়ানো হয়েছে,স্বাগতমের কাছাকাছি এই কথাটা কেমন বিসদৃশ তবুও মোটা অক্ষরে বেশ বড় হরপে লেখা! অশোকদা ওরফে লাইব্রেরিয়ান এখানকার সেচ্ছাসেবক। পাড়ার ক্লাবের উদ্যোগে এই লাইব্রেরি আর অশোকদা এখানে মাঝে মাঝেই বই বাবদ টাকা দেন, দাতা আরও কয়েকজন প্রতিবেশীও কিন্তু ক্লাব উদ্যোগক্তারা সেই পুরোনো বইয়েই লাইব্রেরীর সীমা গন্ডি টেনেছেন; এখন তো বই পড়ার বদলে আড্ডাই হয় বেশী– অশোকদা মাঝে মাঝেও বলেও ফেলেন আপনারা কি বই চান আমাকে বলুন একজন বলেছিল আর কতবার পড়বো একই বই! অল্পবয়সী, মাঝবয়সী সকলের নিশ্চুপ হাসিতেই যেন সমর্থনের প্রশ্রয়! অশোকদা ভাবলেন এখানে যেন তিনি একটা
সং, ক্লাবের ছেলেদের কাছে বহুবার আর্জি রেখেও লাভ হয় নি অবশেষে অশোকদাও চমক দিলেন ক্লাবকে টাকা দেওয়া বন্ধ করলেন কারণ আর অপাত্রে দান করলে বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে কবে হয়তো লাইব্রেরীর অস্তিত্ব ও হারিয়ে যাবে! অশোকদা সত্যিই কুন্ঠা বোধ করেন প্রবেশ দ্বারে ঐ স্বাগতম শব্দটার জন্যে যেন শব্দের আড়ালে গড়মিলটার সাক্ষী তিনিই শুধু! অথচ মুখ খুললেই ক্লাবের ছেলেদের ব্যবহার ও বদলে যাবে মুহূর্তে তাই সেচ্ছাসেবকের ভূমিক পালনে থেকেই গেলেন।