Skip to content

কুড়িয়ে নেই ঝরা ফুল – রমেন মজুমদার

কুড়িয়ে নেই ঝরা ফুল
—-
কলমে – রমেন মজুমদার
তারিখ -০৩/০৪/২৩

যেই ছড়াল বৃক্ষহতে মাটির বুকে ঝরা ফুল,
সবাই ভাবে অবহেলিত;সে ধারনাও তবু ভুল।
ঝরা একটি নিয়ম পৃথ্বীর,সময় হলে ঝরবেই;-
তাই বলে কী অবহেলার তুমুল শিকার হবে সেই ?

এমনি করেই মুঠোফোনে কাব্যঝরার খেলা চলে,
সেই খেলাকেই সম্মাননা,স্মারক দিয়ে সবে বলে;
ঝরাফুল আর ঝরাকাব্য একই দেখি বিচার করে,
সেই ঝরাতেই অমূল্যদান, আনতে পারে ক’জন ধরে?

বছরঅন্তে একবার হলেও লিখেন ভাগ্য কবির ভালে;
আয়োজক আর সম্পাদকের ইচ্ছাগুলো
ছড়ায় ডালে।
সম্মেলনের সময় তখন জানিয়ে দেয় সেই মাথা’রাই
একটি মিলন মেলায় মিলে কাব্য ঝরায় সব কবিরাই।

হাততালি আর ব্যাচ লাগলো,সাদা পাতায় সই,
উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে,মাইক সন্মুখে কবিতা কই।
কেউবা আবার গান – নটকে মঞ্চ কাঁপায়
কিছুক্ষণ;
ক্রেস সাজানো ফুলের তোড়ায়;বর্ধে শোভা ততক্ষণ।

সৃষ্টিছাড়া হয়না কিছু,অতিশ্রমে সুফল ছড়ায়;
তেমনি করে ঝরায় বৃক্ষ ফুলপল্লবে বিশ্ব ধরায়।
মঞ্চে উপবিষ্টগণে অতিজ্ঞানী তারাই তখন;
কবির মাথায় ঘূর্ণিখায়!কোন কবিতা পাঠে মন ?

উদার মনে কাব্যপাঠে,অঞ্জলিপূর্ণ পূজ্য সমান;
ক্ষুদ্র হলেও মানপত্রতে, হাতেপেলে অধিক মান…
জ্বালায় বাতি তৈলপ্রদীপে,সময় এলে
মোড়ক খোলা;
একটি কাব্য ছাপার অক্ষর দেখলে চোখে হৃদ্যে দোলা।

সৃষ্টি ছাড়া পায়না মূল্য,সৃজনকরী নইলে তখন;
সমাজমুলে জীবনভরে,দিয়েও কেউ ঘৃণিত জন!
শব্দ ভাঙার খেলা চলে,আবার শব্দ গড়ার সুখ;
সুখ-দুঃখের ঝরা ফুল ভাঙন নদীর দুকুল বুক।

কবির কলম প্রতিবাদের;লিখবে যখন সত্য কথা;
সমন জারি,গ্রেফতারিতে;কারও কলম নীরব তথা।
এই সমাজের চালচিত্র বদলে গেছে ডিজিটালে;
সবাই স্বাধীন মুক্তমনা;নয় পরাধীন নিন্দা ভালে ।

সবাই নেয় নব্য কুড়ি, আমার চাওয়া ঝরা ফুলে;
কুড়িয়ে পাওয়া ফুলগুলিতে নীরবসুখ মন ভুলে।
কবি ও কাব্য,বৃক্ষ ও ফুল; জীবন বোধের নীরব দান;
অবহেলিত নয়গো তাহা; সুখ কপালের সেই মহান।।
—— সমাপ্ত।

মন্তব্য করুন