Skip to content

আমাদের চাঁদে গ্রহণকালেও সুতো কেটে যায় বুড়ি–আমিনুল ইসলাম

শরতশরীরে আপনার ঘ্রাণে এ মন পাগলপারা,
সহসা তখন শেষহেমন্তের চাঁদ দেখিয়েছো তুমি,
নদীর মতন কুয়াশার কাল গুনে হোক দিন সারা,
শীতের উঠোনে আমরা রচিবো অনাগত ফাল্গুনী।
প্রযোজিত বান- যায় ভেসে যাক্-স্রোতাকুল রাজধানী,
ভেসে যাক্ আজ বলরুমে বাঁধা নূপুরনিপুণা রাত,
বাদাম ওড়াবে নূহের নৌকায় চাররঙা জামদানী,
ঝাড়বাতি নয়,–হাসবে মাথায় কাজলাদিদির চাঁদ।
পাড়ভাঙ্গা ঢেউ আগেও দেখেছে জোয়ারভাটার চোখ,
ঘূর্ণিঝড়েও জ্বেলে রাখে বাতি সারেঙ বউয়ের প্রাণ,
মোহনার বসে চতুর হাঙর গিলে যাক্ তার ঢোক,
তুমিও তো জানো বিরুদ্ধ স্রোতে উজান বাওয়ার গান।
আমাদের হাতে স্বপ্নের ঘুড়ি আমাদের হাতে লাটাই,
ছিঁড়ে যায় সুতো বারবার- তবু আমরা ওড়াই ঘুড়ি,
পরাস্তি নয়,- মাঝেমাঝে শুধু মেরামতকাল কাটাই,
আমাদের চাঁদে গ্রহণকালেও সুতো কেটে যায় বুড়ি।

মন্তব্য করুন