Skip to content

আটকে পড়া স্বপ্নদোষ – আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

অর্ধলগ্ন চাঁদ ভাসে আকাশে,
কিঞ্চিৎ আলোয়-
আর কিঞ্চিৎ গেছে বেঁকে।
যে রাত মেখেছি গায়ে,
তা অস্পষ্ট দূরে হারায়,
তক্ষকের কন্ঠে ডেকে ডেকে।
অস্থিরতায় এলোমেলো তারার পথ,
উদ্দেশ্যহীন ছিটকে পড়ে-
আমাদের রঞ্জনানলে,
অসহায়, অধৈর্য্য জ্বলে জ্বলে।
ছিড়েইতো ফেলেছো,
রাখোনি কিছুই বাকি,
কিছুটা আনতে পেরেছি-
আর কিছুটায় দিতে হয়েছে ফাঁকি।

এখানে নোঙর করেছি হলো কিছুদিন।
স্রোতের তোড়ে ভিড়েছি-
বুক চেড়া পদ্ম নিয়ে।
আহত পাপড়িতে স্বপ্ন খেলে যায়,
কুসুম কুসুম উষ্ণতায়-
রাখবো না ঢেকে কান্না দিয়ে।
ভাবনার জোরও ছিলো বেশ-
জোয়ারের পানি দেখে দেখে-
চোখের জোয়ার নিঃশেষ।

দুরের কোন এক স্বপ্নে আটকে গেছি।
রতি শেষে স্বর্গের হুর দেহের গন্ধ নিয়ে দাঁড়িয়ে,
দেখতে ঠিক কাহিনীক পরী।
এলোমেল ঝরঝরে চুল, যেনো-
পৃথিবীর হাওয়ায় ভাসছে,
পঞ্চ রিপুতে আঁকা নারী,
শিরা উপশিরায় বেঁকে বেঁকে-
মাংসল বাহারি।
ফিনফিনে সাদা মসলিন ভুষনে-
লোক মুখের নৃতাত্ত্বিক মুখ,
যেনো হাত বাড়িয়ে ধরি এমন সুখ।
ভালোবাসায় গলে গলে ফিরে যায়-
আঙুল আর নখে।
থেমে যায়, জমে যায়,
আমার আঁচড় কাটা বুকে।
এ কখনোই কারো হবার নয়,
চাঁদ আর পরী আঁশটে আফসোস।
শুধু বার বার ঘুম ভাংগায়,
জেগে থাকা মৃত্যু কোষ।
যা ভালোবাসায় চিহ্নিত,
মরনেও নয় ভিত।
এ কেবলই দুরের কোন স্বপ্নে-
আটকে পড়া স্বপ্নদোষ।

—-
শুরুঃ ৫ সেটেম্বর, ২০২৩/ শেষঃ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
মন্ট্রিয়াল, ক্যানাডা।

মন্তব্য করুন