আবু সাঈদ সবার জন্যে
কোটা সংস্কার চায়,
ছাত্র-ছাত্রী রাজ পথেতে
মিছিল নিয়ে যায়।
সেই ছেলেটি ডিগ্রি শেষে
ধরবে দেশের হাল,
কোটা ভিত্তিক সংস্কার যে
হলো তাহার কাল।
বন্দুক হাতে ছাত্র-ছাত্রীর
পুলিশ বাঁধা দেয়,
বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়ে
জীবন কেড়ে নেয়।
ভাগের কোটা নিয়ে হতাশ
ঝরছে তাজা প্রাণ,
চিল-শকুনে উল্লাস করে
পেয়ে রক্তের ঘ্রাণ।
শপথ ছিলো দেশ স্বাধীনের
পাবো স্বাধীন সুখ,
কেনো তবেই লক্ষ মায়ের
সন্তান হারার দুখ!
দেশের শত্রু বিনাশ হলো
ধরে দীর্ঘ নয়’মাস,
এতো বছর পরও কেনো
আজো দীর্ঘ’শ্বাস!
বহু হিসাব জের রয়েছে
মেটবার বুঝি নয়,
এই প্রজন্ম আক্ষেপ করে
চাইনি এমন জয়।
স্বাধীন দেশে সবাই জানি
সমান সুযোগ পায়,
দেশটা গড়তে সকল শ্রেণী
আপন মনে চায়।
দেশের সেবক হবার জন্যে
থাকবে কেনো ভাগ,
দেশ স্বাধীনের জন্যে সবাই
করেছিল ত্যাগ।
লক্ষ প্রাণের জীবন নাশে
স্বাধীন হলো দেশ,
সমান সুযোগ পেলে সবাই
থাকব তবে বেশ।
থাকবে কেনো হানাহানি
আপন গোষ্ঠী ভাই,
শ্রেণী শোষণ আর বৈষম্য
স্বাধীন দেশে নাই।
দেশের সকল কর্মক্ষেত্রে
থাকবে সম’মান,
তবেই দেশের প্রতি সবার
রবে মায়ার টান।
কেনো তবেই বিভেদ করে
সৃষ্টি করলে দল,
দেশের মানুষ ভাগ করিলে
হয় না ভালো ফল।
দেশের এই চালিকা শক্তি
অচল করে দেয়,
আদৌ ওঁরা দেশের ভালো
মেনে নাহি নেয়।
প্রজার ছেলে রাজা হবে
নীতিমালা রয়,
স্বাধীন দেশে সবাই সমান
উৎকণ্ঠা যে নয়।
লক্ষ প্রাণের স্বাধীন বাংলা
আগামনীর জন্যে,
দেশের ভারটা তাদের কাঁধে
হবে সবাই ধন্য।