নৈশব্দে হারায় যাওয়া “সুখ” খুজতে গিয়া আমার “দুঃখ” হইছে ‘গাছ’-
ঘুমের রাইতের “অন্ধকার” পলাতক আছে দক্ষিনের কোন মফস্বলের ২ নাম্বার রোডের ১২ নাম্বার গলিতে।
নগরীর সব ইলেক্ট্রিকের পুলে লাগানো বিজ্ঞপ্তির ভীরে কোথাও কেউ ‘চাহিদা’ ব্যাতীত সুখের ঠিকানা তো দূর-
সুখ নামের একটা গোটা মহাবিশ্ব নিখোজ, তার ‘খবর’ অবধি জানার প্রয়োজনবোধ অবধি করে নাই।
নাকি কেডা জানে, তাগো সব সুখ মনে হয় থাকে ‘হারবালে’!
খালি আমার একলার ই মনে হয় সঙ্গায় আজব, আলাদা ভয়াবহ “সুখ”.
আচ্ছা, ‘ঘুমের রাইত’ কি সেই মফস্বলের গলি থেইকা আকাশে ইলেক্ট্রিকসহ আরো হাবিজাবি কেচো গিজগিজ ক্যাবলের ভীরে জোৎস্না দেখতে পায়?
আস্ত আকাশের মস্ত একখান চাঁদ কি পারে ওই মফস্বলের গলির চিপায় থাকা ঘুমচোর অন্ধকারের গা চুইয়ে স্নিগ্ধতা নামাইতে?
আমার গাছ হওয়া “দুঃখ”- শিকড় ছড়ায়া দেহের ভেতর প্রত্যেক শীরায় শীরায় বাড়ে-
হৃদপিন্ড হাইওয়ের সাইডে গোটা অক্ষরে হলুদ সাইনবোর্ডে লেখা “ওভারলোড জাতীয় তথ্যাদি” সম্পর্কে তোয়াক্কা না করা বাস/ ট্রাক/ পিকাপ এর ডাইভার যেন-
আমি নাগরীক সকাল/সন্ধ্যা/রাইত বইসা থাকি-
তোমার লাইগা!
চাঁদের বুড়ির দরবারে চিঠি লেখি,
কিন্তু বুড়ির ব্যাবহার ঘুষখোর আইন মানা সরকারী ছাপোষা কর্মচারীর মত,
আমার প্যান্টের এক দুই গুইনা সাড়ে চাইরডা পকেট ফাকা জন্যে বুড়ির কাছে আমার চিঠি “ওভারলোড” মাল-
আমার আফসোস লাগে! আমার লাল চোখ রাখার জন্য প্যান্ট গার্মেন্টস কোন পকেট বানায় না-
আমার বটগাছ ক্লান্ত আর জান্নাতের ভিষন অসুখ-
এদিকে দিনরাইত মস্তিষ্ক পচনের গন্ধে ফুসফুস এ হাওয়া ঢোকে হলুদ বোর্ডে ‘বিপজ্জনক এলাকা’ লেখা’ কেমিক্যাল কম্পানির সাইডে থাকা বুড়িগঙ্গার পানির মত-
তাও আমি দাত ক্যালায়া রাখি, ক্ষুধা দৈনিক ২ বেলা উপস থাকে-
হারবালের নগরীর সামাজিক বাসিন্দারা হাসিছাড়া লোক দেইখা হাসে জন্যে “ত্যাগেই পরম সুখ” ফর্মুলা অ্যাপ্লাই কইরা ‘সুখ’ খুজি,
অথচ ‘সুখ’ হইতেছে পলাতক ‘ঘুমের রাইতের অন্ধকারের’ মফস্বলের নাম, যার ঠিকানা যে ম্যাপে আছে-
গোপন সুত্রে পাওয়া গেছে, ম্যাপখান কাচের বোতলে ভইরা ছিপি মাইরা “সমগ্র বাংলাদেশ ৫০ টন” ট্রাকের সাথে বাইন্ধা কোন এক মহাসাগরের ভিত্রে ফালায় দেওয়া আছে।
দড়ি পচতে টাইম লাগে…
‘না থাকা পকেট’, ‘ওভারলোড’ এর দোহাই, ‘গড়ের মাঠের পকেট’ জন্য আমার বা-হাতটাও প্যারালাইজড হইয়া রইছে গত ‘বুঝবান’ বছর যাবৎ-
ক্লান্ত বটগাছের সাথে আলাপ হইছিল আমি ভিতরে বুড়িগঙ্গার অক্সিজেন নিয়া মইরা যাইতেছি,
বটগাছ ও পকেট হাতায়া কিছু পায় না-
তোমারে কয়েদি হিসেবে যে সেলে সামাজিক নাগরীকের ভালোবাসার যে হাতগুলা অনস্পট রায় দিয়া আটকায় রাখছে, তাগো কওয়ার মত কিছু আমার আর নাই।
আমি বুঝতেছি আমি মইরা যাইতেছি,
নগরের ভিত্রে, নাগরীক ভীরে বাকা ঠোটে খালি একখান জিনিস জিন্দা নিয়া বইসা থাকি, চা খাই, মারি ধুম্রশলায় টান-
হাওয়ায় ওড়া সাদা মেঘ কবে জানি কইছিল, “অপেক্ষা” তার নাম।
তাই নাক মুখ বাইন্ধা “অপেক্ষা”-রেই করতেছি।