আত্মশক্তির উৎসারিত এক আলো,
জানালো, বোঝালো, ভাবালোও –
মূল্যবোধের জাগরণে প্রতিভাত
সম্পর্ক নির্ধারণের চূড়ান্ত ক্ষমতা যত,
অন্তঃ এবং আন্তঃ -এর জাতীয় সম্ভাবনাকে,
হতেও পারে – ইচ্ছা, অনুভূতি বা ভাবনাকে,
সম্পৃক্ত করার নীতির অনুসারক,
তবে কখনোই নয়, জীবনের ক্রীড়ানক।
সার্বভৌমত্বের অক্ষরগুলি তো এ কথাই বলে,
এরই জন্যে আদিকাল থেকে, বাকবিতণ্ডা চলে।
এরই জন্যে সীমান্তে বেড়াভাঙার হুঙ্কার,
এরই জন্ম হয়, কত শত আশঙ্কার !
দম্ভে কেবলই পুঁজি আর সীমার ঔদ্ধত্যে,
ভেসেছে যে কতই রক্তস্রোত, ইতিমধ্যে।
কিন্তু হিসেব কি মিলেছে, এখনও?
বৃত্তের পরিসরে স্বস্তিরবলয়ে, এমনও
কোনো উদাহরণ কি পাওয়া গেছে,
যেখানে সংগ্রামহীন, শান্তির দ্যুতি কোন আছে ?
নেই, নেই, নেই – ইতিহাসও মাথা নাড়ে,
স্বার্থপরতাহীন, আইনী মাথায় চড়ে
অবিরত বেজে যায়, সমূহ বৈভব দেখিয়ে সে,
আর, জীবনের সম্পাদ্য বিচারের আশায়, এজলাসে
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে ; জ্বলে শুধু মোমবাতি,
খোঁজে কারণ, বদলে যাওয়ার সংজ্ঞাটি,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান যা’ সাজিয়েছিল, তার পাতায়,
পড়ে আছে অক্ষরগুলি, অনুভূতি শূন্যতায়।
@সুপ্রিয় ঘোষ, কলকাতা,
১৬০১২০২৪
সকলকে আমার আন্তরিক ভালবাসা জানাই।