'নবারুণ দল'- এই গানের দলের মাধ্যমেই আমার সাথে গানের প্রথম পরিচয় ঘটে শৈশবে। প্রায় সন্ধ্যেবেলায় আমাদের বাড়িতে বসতো মহড়া। তখন ছোট্ট ঝাড়গ্রামের অনেক গানপ্রিয় মানুষজনের সমাগম ছিলো এই মহড়ায়। ঝাড়গ্রাম সংলগ্ন গ্রামগুলি থেকেও আসতেন অনেকে তাদের গলা বা হাত ঝালিয়ে নিতে।
নিত্য অভাব অনটনের সংসারে সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরেও কোনোদিন বাবার চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ দেখতে পাইনি। প্রায় রোজই শুনতাম নানান ধরনের গান। বাউল,লোকগীতি, শ্যামাসংগীত, পল্লীগীতি, ঝুমুর, আধুনিক থেকে শুরু করে পদাবলী কীর্তন পর্যন্ত। কিন্তু হয়তো ভাঙনের কোনো এক নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী বাবার সখের 'নবারুণ দল' হারিয়ে যায় চিরতরে। তবে ভেঙে যাননি বাবা, বন্ধ হয়ে যায়নি মহড়া, থমকে থমকে চলতে চলতে আবার ভর্তি হয়েছে ঘর নিত্যনতুন সমাবেশে।
ছোট থেকেই বহু মানুষের পরিচয় ঘটেছে গানের মহড়া থেকেই।
দিনেদিনে বড় হই, মাধ্যমিক দেওয়ার সাথেসাথেই যোগাযোগ ঘটে ঝাড়গ্রাম বলাকা সাংস্কৃতিক মঞ্চের সাথে। সেটা ১৯৯৬ সাল, 'দেওয়ান গাজীর কিসসা' নাটকে দোতারা বাজানো থেকেই শুরু নাটকের কাজ।
আবার ভাঙনের সেই নিদারুণ নিয়ম অনুযায়ী ২০০৩ সালে পমপমদার নেতৃত্বে জন্ম নেয় 'প্রয়াস শিল্পচর্চা নিকেতন'। কিছুদিনের মধ্যেই হদিস মেলে নতুনের.... মঞ্চ থেকে মাটিতে। কয়েক বছরের মধ্যেই প্রয়াসের কর্মীরা মেতে ওঠে একইতালে মঞ্চে ও মাটিতে।
সুযোগ মেলে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগে, পাশাপাশি বি.ডি.ও অফিসের সচেতনতামূলক অভিযানে, ভারত সরকারের সঙ্গীত ও নাট্য বিভাগের প্রচার নাটকে।
স্বাদ বদলাতে ও বিবিধ প্রয়োজনে তৈরি হয় অনেক নাটক, নাটকের প্রয়োজনে গান, পাশাপাশি গানের চর্চা।
প্রয়াস থেকেই নাটক ও গান লেখার কাজ শুরু, সাথেসাথে কবিতা...
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও পরিজনদের অনুরোধে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছি। বিশেষ করে বলি, গানগুলি বেশীরভাগ আঞ্চলিক। আছে টুসু, ভাদু, মুন্ডারী ও অনান্য সুরে। এখন শুধু লিখিত আকারে প্রকাশ করছি, পরবর্তী ক্ষেত্রে অবশ্যই রেকর্ড করে রাখার ইচ্ছে আছে।
ভোলাদা
প্রযত্নে- শ্রী স্বপন বৈরাগী
৪৯৩/৪০৩, রঘুনাথপুর, দেবেন্দ্র মোহন হলের নিকট
ঝাড়গ্রাম- ৭২১৫০৭
চলভাষ- ৭৫০১২৯৫২৪২
নিত্য অভাব অনটনের সংসারে সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরেও কোনোদিন বাবার চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ দেখতে পাইনি। প্রায় রোজই শুনতাম নানান ধরনের গান। বাউল,লোকগীতি, শ্যামাসংগীত, পল্লীগীতি, ঝুমুর, আধুনিক থেকে শুরু করে পদাবলী কীর্তন পর্যন্ত। কিন্তু হয়তো ভাঙনের কোনো এক নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী বাবার সখের 'নবারুণ দল' হারিয়ে যায় চিরতরে। তবে ভেঙে যাননি বাবা, বন্ধ হয়ে যায়নি মহড়া, থমকে থমকে চলতে চলতে আবার ভর্তি হয়েছে ঘর নিত্যনতুন সমাবেশে।
ছোট থেকেই বহু মানুষের পরিচয় ঘটেছে গানের মহড়া থেকেই।
দিনেদিনে বড় হই, মাধ্যমিক দেওয়ার সাথেসাথেই যোগাযোগ ঘটে ঝাড়গ্রাম বলাকা সাংস্কৃতিক মঞ্চের সাথে। সেটা ১৯৯৬ সাল, 'দেওয়ান গাজীর কিসসা' নাটকে দোতারা বাজানো থেকেই শুরু নাটকের কাজ।
আবার ভাঙনের সেই নিদারুণ নিয়ম অনুযায়ী ২০০৩ সালে পমপমদার নেতৃত্বে জন্ম নেয় 'প্রয়াস শিল্পচর্চা নিকেতন'। কিছুদিনের মধ্যেই হদিস মেলে নতুনের.... মঞ্চ থেকে মাটিতে। কয়েক বছরের মধ্যেই প্রয়াসের কর্মীরা মেতে ওঠে একইতালে মঞ্চে ও মাটিতে।
সুযোগ মেলে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগে, পাশাপাশি বি.ডি.ও অফিসের সচেতনতামূলক অভিযানে, ভারত সরকারের সঙ্গীত ও নাট্য বিভাগের প্রচার নাটকে।
স্বাদ বদলাতে ও বিবিধ প্রয়োজনে তৈরি হয় অনেক নাটক, নাটকের প্রয়োজনে গান, পাশাপাশি গানের চর্চা।
প্রয়াস থেকেই নাটক ও গান লেখার কাজ শুরু, সাথেসাথে কবিতা...
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও পরিজনদের অনুরোধে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছি। বিশেষ করে বলি, গানগুলি বেশীরভাগ আঞ্চলিক। আছে টুসু, ভাদু, মুন্ডারী ও অনান্য সুরে। এখন শুধু লিখিত আকারে প্রকাশ করছি, পরবর্তী ক্ষেত্রে অবশ্যই রেকর্ড করে রাখার ইচ্ছে আছে।
ভোলাদা
প্রযত্নে- শ্রী স্বপন বৈরাগী
৪৯৩/৪০৩, রঘুনাথপুর, দেবেন্দ্র মোহন হলের নিকট
ঝাড়গ্রাম- ৭২১৫০৭
চলভাষ- ৭৫০১২৯৫২৪২
This user account status is Approved