Skip to content

২০ জন বাইকারের স্বপ্ন জয়ের গল্প (১) – লতিফুর রহমান প্রামানিক

২০ জন বাইকারের স্বপ্ন জয়ের  গল্প  (১)

ভ্রমণ মানেই হলো নতুন এক ঝুড়ি অভিজ্ঞতা কুড়ানোর স্বপ্ন। পাহাড় খুব টানে আমাকে। ডাক্তার মনির, মুন্না আর আমার শিষ্য বলে খ্যাত আবির। আমাদের এই চার জনের দখলে রয়েছে মোটমাট কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ বাইকে চড়ে ভ্রমণের তকমা। এবার সেই তালিকা টা চওড়া করার নেশা পেয়ে বসে। তাই এবার ছুটব পাহাড়ের শরীর ছুতে।
আমরা তিন জন নিজেদের মধ্যে আলাপ সারিয়ে নিলাম।
আর পরদিন আদালতে এসে আমার আইনজীবী কলিগ পারভেজ ভাই, আরিফ, বকুল, তারেক, ফাহিম, ফেরদৌস সহ কয়েক জন জুনিয়র দের জানাতেই তারা আগ্রহী হয়ে উঠে। 
দু দিন পেরুতে পেরুতে সংখ্যা টা হুড়মুড় করে বাড়তে থাকে। টফি ভাই কে মজার ছলে বললাম, ভাই বুড়ো মানুষ দের সঙ্গে নেব না। এই কথা শুনে বলেই দিল, তুমি আমাকে কি বুড়োর দলে রাখছ? চলো কতদূরে যাবে আমি আছি। তার কথা শুনে আরও আগ্রহী হয়ে পড়ি। পরে মাইদুল, রায়হান, ইছাহক রা ও যোগ দিল। দেখতে দেখতে ১৮ জন বাইকার চুড়ান্ত হয়ে আসে।
অনেক লম্বা সফর। নানা প্রস্তুতি, টাকা পয়সা ইত্যাদি নিয়ে খসড়া আলোচনা সারিয়ে নিচ্ছি রোজ রোজ। পারভেজ ভাইকে এতটা আগ্রহী মনে হলো তা আর বলার মতো নয়। রোজ রোজ টাকা কালেকশন আর ভ্রমণের রুট নিয়ে ফাহিম আর আমার আলোচনা চলছে বেশ ভালো রকমের। ক্যালেন্ডার দেখে আমাদের ভ্রমণের তারিখ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং মোটামুটি কনফার্ম।  আমাদের ডাস্ট কোর্ট নিয়ে বাজারে আর অনলাইনে ব্যস্ত সময় চলেছে ফাহিম আর আমার। রুহুল আমিন ভাই ও আর পিছু ছাড়ছে না। জুয়েল আর শিথিল ও কনফার্ম। হিরু ভাই ও চমৎকার আমুদেপনা মানুষ। আমরা সাথে থাকলে তিনি তার পিছু ছাড়ছে না। অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে বলে হিরু ভাইকে সাথে নিতে চাচ্ছিলাম না। ১৭ তারিখ অব্দি তার যাওয়ার বিষয় টা কনফার্ম ছিলো না। মাইদুল তার সাথে তার এক বন্ধু কে নিয়েছে। ২০ জন মানুষ কে এক করাও সহজ নয়। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বেশ রয়েছে বলে, আশাহত কখনো হইনি। তবে এবার ভ্রমণ যাত্রী অনেক বেশি আর বাইক বলেই চিন্তা টা আরও বেশি। রাস্তার নিরাপত্তা, খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি তো আছেই।

আগের দিন সবাইকে এক সাথে ডেকে নিয়ে পুরো রুট আর টাইম টেবিল নিয়ে একটা খসড়া আলোচনা সারিয়ে নেই।
১৮/০১/২২। সকাল ৬ টায় রংপুর জজ আদালতে সবাইকে  অবশ্যই হাজির হতে হবে বলে একটা কড়া বার্তা ছিলো সবার জন্য।
আগের রাতে আর ভালো ঘুম কারো হয়নি। বিশেষত ছুটির দিনে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে জেগে উঠার মতো অপছন্দ সময় নিয়ে সবার আপত্তি থাকলেও উপায় আর ছিলো না।
ডাঃ মনির আর ডাঃ মুন্না সাথে আবির। এদের পিছনে জমের মতো লাগিয়ে না থাকলে হবে না সেটা আমার জানা আছে। তাইই করলাম। ৬ টা বাজার সাথে সাথে বাইকের হর্ন বাজিয়ে অনেক টা জোর করে তাদের নিয়ে ছুটে চলছি জজ আদালতে। খুবই দূর্ভাগ্যবশত এই প্রথম নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হতে পারলাম না। সাত মাথা মোড়ে নাস্তা করতে করতে আর আরও দু জনের অপেক্ষা করে থাকতে থাকতে সকাল সাড়ে সাত টা পার হয়ে এলো। যাইহোক অবশেষে বাইকে স্ট্রাট দিয়ে ছুটে চলছি এবার নতুনের পথে। পীরগাছা থানার ভিতর দিয়ে গাইবান্ধা জেলার বুকের পাশ দিয়ে যেতে হবে তিস্তা নদীর ঘাটে। এই পথে আগে খুব বেশিদুরে আসা হয়নি আমার। প্রতিটি নতুন রাস্তা, লোকালয় আর মানুষ সবসময়ই নতুন প্রাপ্তি যেন।
সকাল ১০ টা বেজে ২ মিনিট প্রায়। সামনে বিশাল জলরাশীর তিস্তা ব্রম্মপুত্র আর যমুনা নদীর মিশ্রিত জল। আজ সকাল টা ভীষণ রকমের সুন্দর। হালকা রোদ আর নদীর জল মাখা শীতল বাতাসে এক চমৎকার আবহাওয়া। কয়েক মিনিট পর আমাদের রিজার্ভ করা নৌকা ঘাটে এসে দাঁড়িয়ে যায়। একে একে আমাদের দশ টা বাইক নৌকায় তোলা হচ্ছে। এরপর আমরাও  উঠে পড়ি সবাই। সবার চোখে মুখে আনন্দের ছিটেফোঁটা যেন উথলে পড়ছে। দারুণ সজিব আর উচ্ছ্বসিত।
নৌকা যখন ছেড়ে দেয় সকাল দশ টা ২৫ প্রায়। শুরু হলো আমাদের মিশন। কিন্তু এত বিশাল জলরাশী পেরুতে হবে সেই ভাবনা আগে ছিলো না। আমরা যতই এগিয়ে যাচ্ছি ততই যেন নদীর বুক আরও চওড়া হয়ে আসছে। বুকের ভিতর ভয় ও জমতে শুরু করে। তবে নদীর জলের শান্ত ঢেউ ছিলো বলে কিছুটা সাহস পাই।
মাঝিকে ক্ষনে ক্ষনে জিজ্ঞেস করি, ভাই আরও কত পথ?
আর ও দেড় ঘন্টা লাগবে। কথা টা শুনেই যেন ভড়কে গেলাম। তার মানে আড়াই ঘন্টা!  মানে ১৬/১৭ কিমি মতো জলের উপর দিয়ে চলতে হবে আমাদের।

নদীর বুকে অনেক জায়গায় চর গজিয়েছে, মাঝিকে তন্নতন্ন করে সব কিছু জিজ্ঞেস করতে থাকি। সে হাত উঁচিয়ে তার বাড়ির দেখিয়ে দিল। চারিদিকে জল আর তার মাঝে গড়ে উঠেছে চর সেখানে এখন পাড়া হয়েছে। প্রায় দুই হাজার মানুষের বসত।
আরও ভয়ংকর রকমের কিছু কথা শুনতে পাই মাঝির কাছে। কয়েক বছর আগে প্রায়শই নৌকায় ডাকাতি হতো। জল দস্যুরা আক্রমণ করে বসে আমাদের মতো কোন নৌকায়। তারপর জলে ফেলিয়ে দিয়ে লুটপাট চালায় সবার উপর। কথা টা শুনে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়।
না স্যার এখন আর তেমন ভয় নেই।
আচ্ছা আচ্ছা।
পরিবেশ টা ভীষণ রকমের মুগ্ধতার। আর যাইহোক সবাই যে আমরা ভীষণ রোমাঞ্চ অনুভব করছি তা বলাই যায়। অন্তত মনে মনে সবাই চাইছিলাম যেন দ্রুত পেরিয়ে যাই।
প্রায় আড়াই ঘন্টা খানেক বাদ আমাদের নৌকা ভিড়ে নয়ারচর ঘাটে। ক্ষুধায় পেট চো চো সবার। সারাটা নদীর পথে আগুনের মতো সূর্য মুখ চেয়ে ছিলো আমাদের দিকে। 
নদীর ঘাটে এসে, বাইক গুলো নামিয়ে নিলাম। কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারলাম যেন। শুরু হলো ঘাটাঘাটি আর পুরো টিমের সবাইকে নিয়ে দু মিনিটের একটা সংখিপ্ত মিটিং সেরে নিলাম। তবে দু একজনের হুট করে কিছু প্রস্তাব দারুণ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দেয়।
যাইহোক একটা সিদ্ধান্ত হলোই। নদীর ঘাটের কাছে কোন ভালো মানের হোটেল নাই কাজেই আমাদের এগিয়ে যেতেই হচ্ছে সামনের পথে। গুগুল ঘেটে ঘেটে যে রাস্তার দেখা পেলাম তা বলা যায় বিসমিল্লাহতে বিভ্রাট যেন। কংক্রিটের ভীষণ ভাংগা চোরা রাস্তা। আর ধুলোর কুন্ডলী যেন পাকিয়ে চলছি। সামনে ভালো রাস্তা আছে সেই লোভে ছুটে চলছি আমরা। প্রায় এভাবেই ২০ কিমি রাস্তা পেরিয়ে ভালো রাস্তা খুঁজে পেলাম। যাইহোক অন্তত প্রান টা রক্ষা পায় যেন। আর ৩ কিমি পথ দূরে আমাদের প্রথম স্পট লাউচাপড়া টিলা।
ছোট একটা বাজারে থামতেই হলো। প্রায় সাড়ে তিনটা বাজে। ধুলো আর ভাংগা চোরা রাস্তায় বাইক চালিয়ে আর চলার শক্তি যেন নাই। গ্রামের হোটেল তার উপর হুট করে কুড়ি জন মানুষের খাবার থাকার কথা নয়। যাইহোক হোটেলের মালিক দ্রুত ভাত চুলার উপর দিয়ে গোস্তো আর মাছ ডিম দিয়ে সবাই পেট পুরে খেয়ে নিলাম। হোটেলের মান বা খাবারের মান ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে তুচ্ছ। বেশ অনেক টা সময় নস্যি হলো আমাদের তবে মন্দ ও হয়নি বাকি পথ চলতে গিয়ে আর কোন খাবারের দোকান চোখে পড়ে নি। তখন মনে হলো ইস যদি ভাত না খেয়ে বাইকে চড়ে পড়তাম। পাহাড় কেটে কেটে সুন্দর রাস্তা বানানো এখানে। দু ধারে পাহাড় আর তার বুক চিরে আঁকাবাকা রাস্তা দিয়ে বাইক চালানোর যে আনন্দ তা অন্য কারো পক্ষে জানা কথা নয়। অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা। নিজ চোখে না দেখে এটা বলা অসম্ভব। কিছুটা এগুতে বিশেষ একটা সাইনবোর্ডে চোখ গেল। এটা হাতি পারাপারের রাস্তা, তাই সাবধান।

তারমানে এই পথে হাতির দল সারি বেধে চলাচল করে। কিন্তু সে ভাগ্য আর হলো না।
প্রকৃতির নিপুণ হাতে সাজানো লাউচাপড়ার নৈসর্গিক সৌন্দর্য।  প্রকৃতির আলো-বাতাস আর অপরূপ সৌন্দর্য মুহূর্তেই সকল গ্লানি মুছে দিয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের মনে বইয়ে আনে আনন্দের ঢেউ। আমরা যেন আমাদের খানিকটা আগের ক্লান্তি মাখা পথের ধুলোর কথা ভুলে যাচ্ছিলাম। জামালপুরের বকশীগঞ্জের লাউচাপড়া পিকনিক স্পটে।বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছবির মতো গারো পাহাড় দিয়ে ভারতের তুরা জেলাকে আলাদা করে রেখেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা। ঘন সবুজ পাহাড়, বনভূমি সব সময় আকৃষ্ট করেছে ভ্রমণ পিপাসুদের। পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে অজস্র ছোট-বড় ঝরণা ধারা,

আদিবাসীদের পাহাড়ি গুচ্ছগ্রাম আর দিগন্ত জোড়া ঘন সবুজ সব মিলিয়ে প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ সমারোহ।  বকশীগঞ্জ উপজেলায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষে প্রায় ১০ হাজার একর জায়গা জুড়ে বাংলাদেশ অংশে বিশাল গারো পাহাড়। আমরা লাউচাপড়ার গেটে এসে বাইকগুলো গ্যারেজ করে প্রবেশ করি ভিতরে।  লাউচাপড়া ও ডুমুরতলা মৌজায় বিভক্ত পাহাড় আর বনভূমি এলাকাটি বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। মৌজা দুটির পাহাড়ের ঢাল দিয়ে অবস্থিত লাউচাপড়া,  পলাশতলা, দিঘলাকোনা, বাবলাকোনা, বালিজোড়া, গারোপাড়া, শুকনাথপাড়া, সোমনাথপাড়া, মেঘাদল, সাতানীপাড়া, বালুঝুড়ি গ্রামে গারো ছাড়াও রয়েছে হাজং, কোচদের বাস। এই অঞ্চলে আদিবাসী পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৭০০।প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য নিয়ে স্বগর্বে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়ি আদিবাসী গ্রামগুলো। দরজা পেরিয়েই বিশাল একটা মুর্তি। আদিবাসীদের মাতা বলা হয় তাকে। আর তার কাছ দিয়ে সিড়ি বেয়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠা সহজ নয়।  প্রায় পনের তলা দালানের মতো উচ্চতা। তার উপর সু-উচ্চ টাওয়ার।  পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আমাদের টিমের সবাই মহাখুশি। আমাদের রুহুল আমিন ভাই, বরাবর আনমনা মানুষ। সারাক্ষণ তার ক্যামেরা সচল রয়েছে। একলা মনে এদিক ওদিক হাটাহাটি করতে থাকে। আর মাঝে মাঝে ফেচবুক এ লাইভে গিয়ে তার সাবলীল উপস্থাপন বেশ উপভোগ করছে সবাই। বিকেল গড়িয়ে এসেছে, রোদের তাপ ও কমতি পথে। মানুষের ভীড় ও কম নয়। বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ এ গিজগিজ করছে পুরো এলাকা। হাতে সময় থাকলে আরও হয়তো তন্ন তন্ন করে ঘুরে বেড়ানো যেত। টফি ভাই, হিরু ভাই আর রুহুল ভাই তখনও টাওয়ারের উপর দাঁড়িয়ে। কিন্তু যে সন্ধ্যা হয়ে আসছে সেই ভ্রুক্ষেপহীন যেন সবাই।

টিমে লোকজন বেশি হলেও সমস্যা। সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করাই বড় বিষয়। যাইহোক বাধ্য হয়ে সবাইকে অনেক টা টেনে নিয়ে গেটের মুখে চলে আসি। এখনো অনেক পথ বাকি। ইতোমধ্যে মাগরিবের আজান শুরু হলো। আর দেরি করা উচিত হবে না। তবে আপাতত আর ব্রেক নেই কোথাও।  নতুন এলাকা তার উপর রাস্তার যে বাজে অবস্থা জানিনা কখন আমরা বিরিসিরি নেত্রকোনাতে পৌছতে পারবো। শরীরে আর তেমন শক্তি নেই কারো। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন যে এখন রাস্তা টা বেশ ভালো পাওয়া গেল। সবার সামনে সিথিল আর ইছাহক। ইস যা রাফ ড্রাইভিং করে সে যার ফলে তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে ভাংগা ব্রিজ পার হতে গিয়ে দুটো বাইক পড়ে ও যায়।  একটা বাজারে গিয়ে সিথিল থামতেই সবাই তাকে বেশ বকাবকি করে বিশেষ করে সিনিয়র রা আমরা যারা ছিলাম।  রাত নয়টা প্রায় প্রায় ৫৫ কিমি রাস্তা পেরিয়ে বিরিসিরির খুব কাছাকাছি এসেছি। দূরে আলোর আভা ফুটে থাকা জায়গা টাই হলো সেই বিখ্যাত দূর্গাপুরের বিরিসিরি। তবে কিলো তিনেক রাস্তার কথা না বললেই নয়, এতো রাস্তা নয় যেন এক একটি খালের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছি। এযাবৎ আমাদের দেখা সবচেয়ে বাজে রাস্তা। রাস্তায় কোন ইট পাথর নেই, দুই আড়াই ফুট করে যেন গভীর খাল খন্দক হয়ে আছে।

সোমেশ্বরী নদীর এই জায়গায় আর তেমন পানি নেই। একটা লম্বা কাঠের তক্তা বসানো ব্রিজ পেরিয়ে যেতে হয় ওইপাশে।  রাত দশটার খুব কাছাকাছি এখন। আগে হোটেল ভাড়া করা হয়নি। ভাবনায় ছিলো হোটেলের সমস্যা হবে না। কিন্তু অভিজ্ঞতা হলো তার বিপরীত। এখানে ভালো মানের কোন হোটের নেই, আর সরকারি সার্কিট হাউসে জায়গা পাওয়া সহজ নয় এটা ছাড়া আরও যে দুটো আছে তাতেও সিট খালি নেই। খুব বিপদের মুখে যেন পড়ে যাই। অগত্যা খুব সাধারণ মানের দুটো হোটেলে শুধুমাত্র রাত টা পার করার জন্য ভাড়া করে নেই। পাশেই আরেকটা হোটেলে গিয়ে সাধারণ মানের খাবারে পেট ভরিয়ে নেওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না। গল্পগুজব করেই আর খানিকটা ঘুমেই আমাদের প্রথম দিনের সমাপ্তি পর্ব হলো।

(চলবে)

মন্তব্য করুন