Skip to content

স্মৃতি

ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো নাড়া দেয় প্রায়শই,
মেঘে আচ্ছাদিত পরিবেশ যখন ভয়ংকর হয় ক্রমশই —
দুই মেঘের সংঘাত যেনো কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ,
সংঘাত সৃষ্ট গর্জন শুনে হতাম ভীত ও ক্ষুব্ধ;

শব্দ শুনে ভয়ে ছুটে চলে যেতাম মায়ের কাছে,
মা,
ওই মেঘ অত ডাকে কেনো, কেনো দেখাই ভয়?
মা বলে ঠাকুর গেছেন রেগে তাই এত শব্দ হয়।
আচ্ছা মা ঠাকুর কার ওপর এত রেগেছে?
মা বলে যেই ছেলে সারাদিন দুষ্টুমি করেছে।
মনে মনে চিন্তা আসে সেই ছেলে তো আমি,
তৎক্ষণাৎ মাফ চেয়ে বলি, ঠাকুর ঝড় বৃষ্টি কমিয়ে দাও এক্ষনি।
তারপরেই শুনতে পাই শঙ্খ উলুর ধ্বনি,
মাকে বলি উলুধ্বনি কেনো দিচ্ছে শুনি?
মা বলে যাতে শান্ত হয় দেবতা সকল,
নইলে উড়িয়ে নিয়ে যাবে সব থাকবি কোথায় বল?
দেবতারা শান্ত হলে বেজায় হতাম খুশি,
দৃশ্যমান হতো তারা, দেখতে পেতাম শশী।

না আজ সেই দিন গুলো নেই, বুঝে গেছি সব —
কেনো বৃষ্টি হয়, কেনো শোনা যায় মেঘের কলরব;
লোডশেডিং এর আঁধার আলোয় গল্প উঠতো জমে,
এখন যে যার নিজের মতো নিজের নিজের স্মার্টফোনে।
জানি সেসব দিনগুলো আর আসবে না ফিরে তবে,
ছেলেবেলার এই স্মৃতিগুলো চিরকাল রবে।

মন্তব্য করুন