Skip to content

স্মৃতি – নীলাঞ্জন

আজ হঠাৎ করে মনে পড়লো খুব তোকে
হঠাৎ করে ফিরে গেলেম পুরনো দিনেতে ,
সেই পোড়ো মন্দির ঘাট
মন্দিরের ডান দিকের ওই বেঞ্চটা ,
ওটা আজও তেমনি খালি পরে আছে
শুকনো পাতার ছাদরে , নিজেকে কেমন আগলে রেখেছে;

আর তোর সেই প্রিয় কাগজী ফুলের গাছ,
লাল সাদা আরো কত কি রঙের পাপড়ি নিয়ে
ছড়াতাম তোর চুলে-
ওই গাছটা আজও আছে,
তবে আজ মনে হল কেমন শুঁকিয়ে গেছে।
কি জানি, ওর ও হয়তো মন খারাপ
ও হয়তো চায় সব ফিরে পেতে,
হয়তো চায় তোর ছেলে-মানুষি , তোর হাসি;

জানিস , বেশ বসেছিলাম ঘাটের একটা সিঁড়িতে,
ফুরফুরে হাওয়ায় তোর খোলা চুলগুলো
ঠিক আগের মতোই আমার মুখে যেন
কত চেনা ইঙ্গিত দিয়ে গেল,
হুশ, ফিরল হঠাৎ অতর্কিতেই , পাশ ফিরলামনা,
তোকে না দেখতে পাওয়ার ভয়েই;

তোর অভাব এখন খুব টের পাই রে ,
এখন অনেক খালি লাগে আমায় ,
সকালে কেউ আর ঘুম ভাঙ্গায় না ,
সারাটা দিন ঘরেই কেটে যায়
রাতে আবার ঘুম আসেনা,
ছাদের কোনায় একলা বসে থাকি
কখনো আবার তারাদের মাঝে-
তোর ওই কাজল চোখ আঁকি।

আচ্ছা, নীল রং কি এখনো ভালোবাসিস ?
পাঞ্জাবিতে আছে দুর্বলতা ?
আজও আমায় দেখতে পেলে কি তুই-
জাপটে ধরবি, ভুলে সব যন্ত্রণা ?
কবিতায় এখনো আমায় খুজিস ?
মনে পড়ে মন খারাপে?
নাকি এখন পুরোই বদলে গেছিস,
হারিয়ে গেছিস নিজের আজান্তেই।
আমার দেওয়া চিঠি গুলো সব আছে?
আছে বইয়ের ভাজে শুকনো গোলাপ ?
আজও বুঝি লুকিয়ে রাখিস সব ?
আজও কান্না চাপিস বুকের মাঝে ?

এখন হয়ত ভালোই আছিস তুই
যেমন ছিলিস, আমি আসার আগে,
আমিই হয়তো আঁকড়ে ধরে আছি
এখনো বাঁচি শুধু তোর স্মৃতিতে।

মন্তব্য করুন