Skip to content

সেই ছাত্রটি – কবি সুভাষ চন্দ্র দাস

অংকের শিক্ষক একটি অংক দিয়ে বললোঃ তোদের
মধ্যে যে অংকটি পারবে তাকে আমি এক জোড়া জুতা
গিফট করবো।

সকল ছাত্র অংকটি সঠিক
উত্তর দিলো।

শিক্ষকঃ আমিতো একজনকে জুতো দিতে পারবো। একটা কাজ কর, লটারী করি।
বাক্সের মধ্যে তোরা তোদের নাম আর রোল নম্বর লিখে দে।

ছাত্ররা রোল নাম/নম্বর লিখে বাক্সে রাখলো। শিক্ষক বাক্স একটু ঝাঁকিয়ে চোখ বন্ধ করে একটি কাগজ তুললেন।
শিক্ষকঃ আমি কি নামটি পড়বো?

ছাত্ররা একত্রে বললোঃ পড়েন স্যার।

পুরো ক্লাশ Pin drop silence
শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ।

শিক্ষক পড়লেনঃ
আল আমিন । রোল নম্বর ১

ছাত্ররা হাত তালি দিয়ে ফার্স্ট বয়কে অভিনন্দন জানালো।

শিক্ষক পরের দিন এক জোড়া জুতো নিয়ে এসে বললেনঃ তোরা সকলে মিলে জুতা ওকে পড়িয়ে দে।

টিচার্স রুমে ঐ শিক্ষকের চোখে পানি দেখে সহকারী শিক্ষক জিজ্ঞাসাঃ স্যার, আপনার চোখে পানি কেনো।

শিক্ষক জুতোর ঘটনা খুলে বলে, বললোঃ আব্দুল ক্লাশে একমাত্র ছাত্র যে কিনা, খালি পায় ক্লাশে আসে।
আমি ওর কথা চিন্তা করে কঠিন অংক দিলাম। সবাই অংকটি সঠিক উত্তর দিলো। সবচেয়ে অবাক লাগলো, লটারীর বাক্স খুলে দেখি সকল ছাত্রই তাদের স্ব স্ব নাম
নাম না লিখে, লিখেছিলো, আল আমিন, রোল ১। যাতে করে জুতো জুড়া আল আমিন পায়।

মন্তব্য করুন