Skip to content

মেয়েদের জায়গা কোথায়

তোমরা কি দেখতে পাচ্ছো না, শুনতে?
টিভির পর্দায় বা খবরের কাগজে
বারবার দেখিয়ে, কত কত লিখে
আলোচিত হয়, শিরোনামের ভাজে,
মিছিল হতে পারে, ধিক্কার বা নাটক,
কদিন চলে, আবারও একই রকম,
ফিরে আসে নতুন একটা শিহরন,
আন্দোলন, বিচারের প্রত্যাশায়; কিন্তু
সত্যি কি আমরা বিচার চাই আমাদের!
মেয়েদের জায়গাটা কোথায় রেখেছি?
মেয়েরা তো সম্মান পাবার জন্য নয়
চাহিদার উন্মুক্ত বাজারের পন্য,
ভোগ্য চিরকালের, স্বীকৃতি হীন,
আজও অমলীন, তার স্থান অত্যাচারের।
ওরা চালান হয়, বিক্রি হয়, নগ্ন হয়
পুরুষদের জন্য, তাদের কাম বাসনায়,
কখনো পড়ে থাকে ফেলে দেওয়া
মাটির ভাঙ্গা কাপের মত, একঘরে।
বস্তায় ভ্রুণ পড়ে থাকে হসপিটালে,
সদ্যোজাত মেয়ে কা৺দে ডাস্টবিনে ,
পুত্র চায়, চায় না মেয়ে, বংশ রক্ষা!
তারাই প্রশ্ন তোলে মেয়েদের নিয়ে
হয় পোশাক নয় স্বভাব, মেকী সংস্কৃতির।
তিন থেকে আশি , যে কেউ হতে পারে
ক্ষেত, খামার, ট্রাক, বাস বা কারে ধর্ষিত
কারোর বোন, মা বা সন্তান; যায় আসে না
তার , যে ভাবে , ভোগ্য হয় নি; বেশ আছে;
যে ধর্ষিতা, সমাজও ঝাপিয়ে পরে,
রোজ রোজ ধর্ষন করে ভাষায়, চাউনিতে;
দেখি আমরা, যারা শান্তি চায়, ক্যাবলা!
দেতো হাসি দিয়ে,হই এক সমঝদার ;
মনের আস্তাকুঁড়ে বেড়ে উঠে ভয়
ধর্ষকরা বুক চিতিয়ে খুজে বেড়ায়
শিকার; শরীরটা জ্বালায়, খুন বা ফা৺সিতে,
রক্তের ছাপ ভয় বাড়িয়ে দেয়, পাড়া চুপ
নিঃশব্দ কান্নায়, সেই মেয়েটাই জাগে,
হায়! ভাগ্যের অজুহাত ; চাপা পড়ে যায়,
শান্তির জীবনে ফেরে বাকি সব জন,
হারাধনের দশটা ছেলের গল্প বলে।
ধর্ষন হয়ে চলে; বাবা, শ্বশুর, ভাই ,
এছাড়াও পুলিশ, প্রশাসন, প্রত্যেকে,
ধর্ষক হতে পারে, শরীরের গন্ধে;
বিভিন্ন অজুহাতে যে আনন্দে
বেজাত বা বিধর্মী, বিছানায় সব এক
যৌনলালসায় মুছে যায় ভেদাভেদ,
সবথেকে পুরনো ব্যাবসায় রাত জাগে।
অনেক হয়েছে, আর নয় একটাও ধর্ষক,
তুমি,আপনি, দূরে আলোচনায় যারা
সবাই পারে এই চ্যালেঞ্জ টা নিতে
আমাদের বাড়ীতেই যে আতুরঘর,
জমা জলটা চলুন ,পরিষ্কার করি;
একবার যাই ওর বাড়ী, যে রাতে ঘুমায় নি
ক্যামেরার ঝলকানি নয়, খোলা জানলায়
মুখ রেখে বলি, আমরা সবাই আছি;
উল্লঙ্গ দাড়াই , সভ্যতার উজ্জ্বল রূপ!
ধর্ষকদের জন্য বিচিত্রানুষ্ঠান হোক;
কিন্তু ধর্ষিতা, যে সমাজের বলি,
এই মন্দিরে সে পূজ্য প্রতিমা নয়?

মন্তব্য করুন