Skip to content

মৃত্তিকার আবরণে প্রতীপদর্শিনী-আহমেদ হানিফ

আজি হতে অনন্ত কালের অপেক্ষমাণ কোন নরের অবলোকনে,
তুমি নারী!
তুমি রুচিবান,মনুষ্য সৃজনের প্রসন্ন তনুশ্রী!
মহাকালের কত সাধক আর সহস্র প্রেমাবতার বয়ানে-
নারী চরিত্রায়ন হয়ে উঠেনা,নারী নতুনত্বে সৃজিত!
নারী,
রহস্যোপন্যাসে কল্পিত মহারানীর রহস্যঘন জীবনালেখ্য পাঠ।
নারী তুমি অদেখা স্মৃতিস্তম্ভে অর্ঘ্য নিবেদনে-
মহাপ্রাণ প্রেমাসক্ত নরের উপমা।
তবে,
কত কালের মহামানবের আর্শীবাদ হেতু তুমি-
হে তুমি নারী-
দীর্ঘকেশী,শৈল্পিক বিন্যাসে দেহরূপ!
কালের সৌন্দর্য রূপালঙ্কারে অঙ্কিত হয়ে-
তুমি সৃজিত মৃত্তিকার সয়লাবে।
তাই,
জীবন পাঠের মহাসত্যের সরল স্বীকারোক্তিতে,
তুমি মানুষ!
হিমালয়ের মতো বিশালত্বে অঙ্কিত কোমল মন-
আর,পুষ্পিত অনুভবের দেহশ্রী!
মাঝে মাঝে কি যেনো ভেবে তোমায় অনুভব করি-
কোন সুখের আবেশে চৈতন্য হারিয়ে বসি তা কিঞ্চিৎ বোধেদয়ে জাগ্রত হয় না।
তোমায় কতক বিশেষণে রূপায়িত করি,
রূপিনী,সরলা,শুভানী!
তবুও কেন তুমি দুর্ভেদ রহস্যময়ী?
সরলা,
তোমার পাশে থাকার যখন দুরন্ত সাহস করি-
তখনি তুমি পরিবর্তনীয় একরূপ,
অন্য কেউতে রূপান্তরিত হও,
যে মানুষ নারীসত্ত্বা নয়,তেমনি কেউ,
সহাস্যমুখে কত কথা বলো, কত গল্পের প্রেক্ষাপট সৃজিত হয়।
তাই তোমার নাম রেখেছি-
মৃত্তিকা বিলাস!!
সহজসাধ্যতায় তোমাকে চয়নে কসুর করিনা-
তোমার উপমায় যত কবিতা জেগে উঠুক না,
আমি চিরাচরিত সত্যে তোমায় অবলোকন করবো-
তুমি সত্য,সুন্দর,তুমি কবিতা-
তুমি মৃত্তিকা।
মৃত্তিকার আবরণে প্রতীপদর্শিনী!!

মন্তব্য করুন