Skip to content

মানবিক – (পর্ব – তিন)

ছুটির দিনে দুপুরের খাওয়া দাওয়ার শেষে দিমানের অভ্যেস বাইরের লনে একটু পায়চারী করা , শেষ বিকেলের আলোয় দূরের পটে মায়াবী দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে , লনের দেয়ালের অনেকটা জুড়ে পর্ণার রঙীণ পোট্রেটে পরেছে লালচে আলোর চ্ছটা ঠিক মুখের বা দিকটায় । ও ঘরে সংগীতের সুরে সেসময় হৃদয়ের লেনদেন , পর্ণার জগৎ জুড়ে দিমানের আমন্ত্রণীর বিচিত্র প্রভাব আর হৃদয়ের ক্যানভাসে ধরে রাখা অসংখ্য পোট্রেটে অনাবিল মুগ্ধতা । প্রতিটি প্রহর অণু পরমাণু সহ আজ অলক্ষ্যের প্রাচীরে বিস্মৃতি গড়তে ব্যাস্ত, সমাজ, সংসারের ভেতর দিয়ে সে অবয়বে পড়েছে কালের ময়লা , কোনভাবেই মেলানো যাচ্ছে না ওকে আর একে । সমস্ত জাগতিক আর নৈসর্গিক সময়গুলো ব্যাপ্তির ঢেউ নিয়ে খোলামকুচি খেলায় মত্ত । এক একটা ঢেউয়ে ভেঙে যাচ্ছে এক একটা দিমান,পর্ণা । আর শূণ্যতায় ভরাট হচ্ছে ওদের আজ,কাল,পরশুর ঝাঁপি । পৃথিবীর সমস্ত পর্ণাদের আশাহত মুখের মিছিলে সাঁতার কাটছে অসংখ্য দীমান । শেষ বিকেলের ছায়ার সাথে বিদায় নেয় লালচে রোদ্দুরের মরিচীকা । ফ্যাকাশে আলোয় আসন্ন আঁধারের অন্য প্রভাব ছড়িয়ে গেছে মুখে,চোখে, ব্যবহারে । ঘরে ঢুকে আয়নায় মুখে অদ্ভুত বলিরেখায় কেমন মুষড়ে পরে দিমান । কালো হলেও তার চেহারায় যে একপ্রকার বনেদিয়ানার ছাপ আছে তা মাসি, পীসির কাছেই শোনা দীমানের ।কতকাল এই চেহারা নিয়ে পর্ণার সাথে তর্কে মেতে উঠছে, অফিসের ফিমেলদের বিশেষ দৃষ্টি ছিল ওর ওপর । পর্ণা কফি হাতে ঘরে ঢোকে ,” ঘুমুচ্ছিলে ? না তো । লনে ছিলাম । বেগেনভেলিয়ায় কুড়ি এসেছে । ভেলভেট কালার । ওহ্ পর্ণা ডঃ স্মিথ আগামী মনডে বিকেল পাঁচটায় ওনার চেম্বারে তোমার এপয়েন্ট করেছেন , ডেটটা লিখে রেখ ।উফ্ কত্ত ভাবনা যেন !নয় ? কোথায় ? কতদিন কোথাও বেড়ানো হয়নি শুধু অফিস আর কাজ ভাল্লাগে বল ? ভাল লাগাতে হবে জোর করে । আচ্ছা তুমি কি ভাব পৃথিবীর সবকিছু তোমার আমার ইচ্ছেমত হয় ? হয় না বুঝি ? নেভার, তৃতীয় কেউ আছেন যিনি দাদাগিরি করেন ,তার লম্বা হাতে আমরা পুতুলমাত্র । তিনি যা চাইবেন যেভাবে চাইবেন আমাদের তাই করে যেতে হবে । আমি অতশত বুঝি না, আমার খুব বেড়াতে যেতে মন চাইছে , চলনা গো বাইরে কোথাও ,আরে আর ইউ ম্যাড এই এমারজেন্সি প্রিয়ডে কেউ কোথাও বেড়োয়? কেন ? আমিতো সুস্থই আছি । ও পরে ভাবা যাবে একগ্লাস জল দাও তো !এই তো কফি খেলে একটু পরে দিচ্ছি ।যাবে কি না বল ? আরে বুঝতে কেন পারছো না , “এটা আমার জীবনে কতটা মারাত্মক সময় ।কোমড়টা ছাড়ো লাগছে , কি যে ছেলেমানুষী কর,আরে পরে যাবো তো “!যাও , তুমি পরেই যাও ! কানের কাছে মুখ এনে, আরে কাল কার পার্টি জান ? জানলে চমকে উঠবে ! মিঃ ভরদ্বাজ গতকাল মেরিকা থেকে ল্যান্ড করেছেন সঙ্গে থাকছেন টেক্সটাইল চেয়ারপার্সন মিঃ গোয়েঙ্কা !যাও যাও ! তুমি ভাবতে পারবে না । কথা বাড়ায় না পর্ণা জানে লাভ নেই , সংসারে কিছু মানুষ থাকে যাদের কাছ থেকে সামান্য সহানুভূতিটুক আশা করা যায় না , ঝড়,ঝঞ্ঝায় বিদ্ধস্ত পথে তাদের মুখগুলি কেমন জটিল মনে হয়, দূরের আকাশ মেঘে ভরে গেলে কাছের মেঘেও তার ছায়া পড়ে ঢেকে যায় হতাশায় , সে সময় অখন্ড নিস্তব্ধতায় ঘুরে ফিরে অন্তঃসার সময়ে শুধু শূণ্যতার প্রসব । কথা থাকে অর্থহীন, মন থাকে অচেতন, মানুষ থাকে মাংসপিন্ড কামের আঁখড়, আর অজানা গন্তব্যে শুধু ভুল ভবিতব্যের প্রসব ।কে কাকে প্রসব করবে ? সময় মানুষকে না মানুষ সময়কে ? ভবিতব্যের গর্ভে সময়ের ভ্রূণে মহাকালের প্রলেপ, অখন্ড অন্তঃসারে শূণ্যতার প্রভাব । মানুষ,মানুষ,মানুষ জগৎ সংসার জুড়ে শুধু খন্ড বিখন্ড অস্তিত্ব , চেতনা , বোধহীন অতিপ্রাকৃত বৈচিত্র্য । তার মাঝে নীরবে হাতরানো কতগুলি অস্তিত্বের দাপট শুধু । সন্ধ্যে হয়ে এসেছে শাঁখের আওয়াজে তার পরিব্যাপ্তি , চরম শৈথিল্য গ্রাস করে ওর শরীর মনে , চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিতেই কিছুটা ফ্রেশ লাগে । কিছুক্ষণ পরেই পার্লারের ম্যম আসবে, দীমান বেড়িয়েছে ওঘরে এলোমেলো ওর জামা,প্যান্ট,টাওয়েল , এসব পিয়ারীই করে কিন্তু বিকেলে আসবেনা বলে গেছে, কোনরকম দলামোচা করে ওয়ার্ডরোবে ঢুকিয়ে রাখে পর্ণা । রাতের খাবার বার করে রাখে ফ্রীজ থেকে, টিভির সুইচ অন করে খানিকটা সময় পুরোনো দিনের বাংলা মুভি। মানুষের জীবনে কিসের চাহিদায় আজীবন ছোটাছুটি , ধর্ম, অর্থ, কাম, যশ, মোক্ষের আপেক্ষিক উদ্দেশ্যগুলিকে জয় করা না কি নিজের অস্তিত্বের পরোয়ানা স্থাপনের অদম বাসনা ? কোনদিনই অনস্তিত্বের পেছনে ছুটে বেড়ায় নি পর্ণা , প্রতিযোগিতার দৌড়ে বেশীরভাগ মানুষের পেছনের অন্ধকার ভাঙণ স্থগিত করেছে ওকে চিরকাল, মূর্খের মত নিরর্থক কিছু ছায়াদের অযথা ছোটাছুটি কেমন যেন হাস্যকর মনে হয়েছে ওর , আসলে মানুষের বুদ্ধি,বিবেকের কাছে নিজেরই কোন সদুত্তর মেলেনি আসলেও মেলেনা । যদি সে নিজে মেলাতে না চায় । একথা মাষ্টারমশাই বলতেন ,জানিস, মানুষ হল নিজের বড় শত্রু , সে নিজেই নিজেকে চেনেনা,বোঝেনা,জানেনা , যদি সে নিজেকে জানত ওলোট পালট করে ফেলতে পারত পৃথিবী, একটি মানুষ যদি তার জ্ঞানভান্ডারের রহস্য অনুধাবন করতে পারত তবে সে নিজেকেই আবিষ্কার করতে সক্ষম হতো , বুঝলি ? আসলে বেশীরভাগ মানুষই ছুটে সময় নষ্ট করে অনস্তিত্বের পেছনে যাতে তার সমস্ত অস্তিত্বের বিপর্যয় ঘটে, মনুষ্যত্বের এ অপমান আমরা নিজেদেরই অহরহ করে চলেছি । তাইতো আমরা শৃঙ্খলিত,পরাধীন , অথর্ব এক অনস্তিত্ব মাত্র । এক গ্যাল্যাক্সি পার্থিব জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ মানুষ কেবল অপশক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে এসে স্থগিত হল । হায় যদি তারা জাগত কি দেখত ? দেখত নিউটনের গতিসূত্র, এডিসনের আবিষ্কার আর সক্রেটিসের বিষপান !! তিনি আরও বলতেন , জানিস খুকু মানুষের মনের গতিবেগ এক আলোকবর্ষের চেয়েও বেশী , তার ব্যাপ্তির কাছে আমরা ক্ষুদ্র , মন যা ভাবতে পারে করতে পারে মানুষ তা পারে না । পৃথিবীর সমস্ত বিজ্ঞানী এক হলেও এর রহস্য আবিষ্কার করতে পারবে না । ধীমানের কল্ । আমার বাসায় ফিরতে একটু রাত হবে তুমি খেয়ে শুয়ে পরবে, এত ছুটির দিনের নৈমিত্তক ঘটনা টেবিলের তৈরী খাবারে মশা,মাছির উপদ্রব অতঃপর ডাস্টবিন।
আজকাল প্রায় সবটাই গা সহা হয়ে গেছে ওর নীরবে নামিয়ে রাখে রিসিভার , বিন্দুমাত্র উত্তেজিত হয় না । ফোনটা খুলে ফেসবুক ওপেন করে ,অনেক গুলো রিকোয়েস্ট জমে রয়েছে একটাতে এসে চোখ আটকে যায় ডঃ প্রত্যুষ মিত্র !! সঙ্গে সঙ্গে! প্রোফাইল খুলে চেক করে , হ্যাঁ যা ভেবেছি তাই । তবে রিলেশন কমপ্লিকেটেড কেন ? পেজের পর পেজ কেবল শূন্যতার হাহাকার একটি সিম্বল , তীরবিদ্ধ হার্টশেপ !!! স্ট্রেঞ্জ !! এত সুদীর্ঘ সময়েও এই অকাল রোদন কেন বুঝতে পারে না পর্ণা কনটাক্ট নাম্বারটা পেয়ে যায় প্রোফাইল চেক করে সঙ্গে সঙ্গে কলিং , ইয়েস আইম ডঃ স্মিথ্ !!একটা গুরু গম্ভীর আওয়াজ আর বিস্ময় ! হ্যালো , আর য়্যু কলিং মি ? হ্যালো !! দরজায় বেল , পার্লারের ম্যম এসেছে , শরীরটা ভালো নেই বলে কোনরকমে একঘেয়েমি থেকে উদ্ধার পায় পর্ণা । ফোন অন থাকায় ওপাশের পুরুষ কন্ঠের উদ্গেগ ।
থতমত খেয়ে চুপ করে থাকে পর্ণা ওপাশেও নিস্তব্ধতা……কিছুসময় পরে , হ্যালো ,এবারে পর্ণার তরফ থেকে , ‘ হ্যলো কে বলছেন ‘ ?
ইয়েস ” ডঃ স্মিথ স্পিকিং ‘ । উত্তেজিত পর্ণার বিস্ময়’ ও , প্রত্যুষ ? প্রত্যুষ মিত্র ? দ্য সি টি কলেজ ? সন্ধি বিচ্ছেদের একমাত্র নায়ক মিঃ প্রত্যুষ মিত্র ? কেন আজ আমিই শুধু নিঃস্ব প্রত্যুষ ,বল? জবাব দাও ! কেন সব থেকেও আমার কিচ্ছু নেই ,? কেন তুমি আমায় ধরে রাখতে পারলে না ? কেন ওভাবে পালালে ? কেন বললে না ,” ছাড়বো না কিছুতেই , কেন ” ? কান্নায় ভেঙে পরে পর্ণা ………ওধারে নিস্তব্ধতা …..পর্ণা ! এইতো আমি তোমারই আছি দেখতে কি পাও নি ? খুব ভালো করে দ্যাখো পর্ণা । আমাদের বিয়েটা হল না কেন , প্রত্যুষ ? কে ভেস্তে দিল ? বলনা কে বাঁধা দিল ? কেন আমাদের মিলন হল না ? কে তোমায় পেল বল ? জবাব দাও ! চুপ করে আছ কেন ? আজ আমি আমার সমস্ত বিপর্যয়ের জন্য তোমায় শাস্তি দেব প্রত্যুষ ! কোন অপরাধে আমার এ বিপর্যয় ঘটল বল ? আমি তো ফিরে এসেছি তোমার কাছে পর্ণা ! তোমার কথাই ভাবছি , আজ আর কেউ নেই ,তুমি আর আমি । আমি রয়েছি পর্ণা শুধু তোমার জন্য , না একটুও কাঁদবে না তুমি ,আমি কষ্ট পাব ! কলিংবেলের শব্দ, ” দিমান ফিরেছে । কাল 11 টার পর “ওকে গুড নাইট আলো নেভে ফোনের! রাত বারোটা দশ , খেতে ভাল লাগে না , গোপাল, গোপাল , গো পা………….ল ওহ্ ও তো নেই ,একগ্লাশ জল খেয়ে শুয়ে পড়ে প্রত্যুষ , প্রত্যুষ মিত্র । গোপাল দেশে গেছে ভাল লাগছে না কিছু ,কাছে থাকলে জোর করে খাইয়ে ছাড়ে, কেবিন , ড্রয়ার পরিপাটি রাখা ওর স্বভাব । এছাড়া খুনসুটি মস্করা তো আছেই । আরও দিন কতেক চলবে এমনিভাবেই । গোপাল ওর নিজস্ব প্রাইভেট সেক্রেটারী নিজের ভাইয়ের মত , দাদা বলতে সব । নতুন বিয়ে করেছে ,ছোটবেলা থেকেই মাসীর কাছে মানুষ আর বৌমা তো আলাপের পর থেকেই কেবল পাত্রী চাইয়ের বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্যস্ত। ভাসুরের বিয়ে দিয়ে তবেই ছাড়বে । আশ্চর্য আপনাপন । দেখতে দেখতে কেমন পার হয়ে যায় জীবন বৈতরণীর সিংহভাগ সময় , মানুষ অনেককিছু ভাবে , অনেক রকম করে , হয়তো কার্য কারণের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টে যায় ,এলোমেলো হয়ে যায় সমস্ত সাজানো স্বপ্ন ! কৃষ্ণা ! গোপালের স্ত্রী ! প্রত্যুষের দেশ গায়ের পড়শি একসময় দু পরিবারে লেন দেন,উঠা বসা ছিল আপনজনের মত , সেই সূত্র ধরে গোপালের পরিবারে একপ্রকার সদস্যের মতই । গোপাল তখন কত ছোট প্রত্যুষ কে ডাকত পুপু বলে !
সে সব দিন কত আনন্দের কত জীবনের , কত আপনার , কত কাছের ,এক থালায় ভাত নিয়ে মাসির দুই পুপু কে খাইয়ে দেওয়া , ওহ্ ভাবলেই দু’ চোখ গড়িয়ে টলটলে চোখ ছাপিয়ে ওঠে !!
সেই ধানমন্ডির ক্ষেত ধরে ছুটে চলা পকেট ভর্তি কোঁচর ভর্তি কড়াইশুটি আর টমেটো । দুপুরে মাসীর পাহাড়া ! চুপিচুপি সিঁড়ি ঘরে টমেটোর স্যুপ তৈরী আর চেটেপুটে খাওয়া ইস্ টুনীটাকে ওর মা ঘরে আটকে রেখে স্কুলে যেত ও বেচারা জানলা দিয়ে আমাদের চাটনিতে লোভ দিত ,ভ্যাংচাত,লাথি দেখাত আমরা সশব্দে হাসতাম বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ও রাগে জানলা বন্ধ করে সে কি কান্না !! আজ ধানমন্ডিতে শুয়ে আছে লাশ হয়ে , খবরটা পড়ে আঁৎকে উঠেছিলাম,” আমাদের টুনী ” ? জানলাম হ্যাঁ !তখন কোথায় মোবাইল, কোথায় টি ভি ? শুধু শৈশব আর শৈশবের খুনসুটি । কোন ফাঁকে যে সময় গড়িয়ে যায় হিসেব মেলানো যায় না , জীবনের ধূঁ ধূঁ প্রান্তে পরে থাকে শুধু পদচিহ্ন । যার ওপর দিয়ে হেঁটে চলে আমাদের আবেগ নুড়ি,কাঁকড় পূর্ণ পথ বেয়ে , অখন্ড নিরবতায় সেই সুরতন্ত্রীতে বেজে ওঠে সুখ দুঃখের করুণ সুর আর ক্লান্ত হৃদয়ে কান পাতি সে সুররোমাঞ্চে ! সারাটা রাত এপাশ ওপাশ করেও ঘুম আসে না, পর্ণার নিষ্কলুশ মুখটা বারবার তীব্র প্রতিবাদী হয়ে চেতনার কষাঘাতে জর্জরিত করে তোলে , নিজেকে অপরাধী মনে হয় খুব, অব্যক্ত কি এক যন্ত্রণায় ছটফট করে সমস্ত চেতনা । কি জানি শেষ পর্যন্ত উদ্দেশ্যটা সফল হবে তো ? আগামী কাল গোপাল ফিরবে দেশ থেকে একটু স্বস্তি , আর পারা যাচ্ছে না । রহস্য ক্রমশঃ ঘনীভূত হয় । মানসিক দৃঢ়তার অনুশীলন প্রয়োজন । মাথা ফেটে যাচ্ছে যন্ত্রণায়, শরীরের মধ্যে অসহ্য যন্ত্রণায় হারিয়ে যাচ্ছে ধৈর্যের সীমা।গোপাল থাকলে সুরাহা হত ! কিন্তু নিরুপায় ডঃ মাথায় বালিশ চাপা দিয়ে পরে থাকেন বিছানায় ।

মন্তব্য করুন