Skip to content

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা “পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বাঁচাতে হলে”

পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বাঁচাতে হলে
উৎসর্গ : অমিতাভ দাশগুপ্ত
কেন জানি না আমি
হাঙরপেটের গোলাপি জীবনের পাগলাগারদে
আপদবিপদ পোষ মানিয়ে বিপথগামী বৃষ্টিতে ভেজা গলির সৎপথে
কাঁধে অন্ধকার বয়ে ২০৫ নং রুটের বাসটা যখুন বাবুঘাট পৌঁছোল
ড্রাইভার বললে ওপারে সামলে যান নদী গেছে সমুদ্রে মাছ বিয়োবার ধান্দায়
.
কেন জানি না আমি
প্রবেশ নিষেধ লটকানো এলাকায় যেখানে বজ্জাতরা জেতে
কানের লতিতে আগাছাঅলা ক্রেটারমুখো সাংবাদিককে দেখলুম গুণছে
দুঃশাসনের ব্যথাবিহীন হাত দিয়ে বিদ্যুৎচুল্লিতে জমা শেষনিঃশ্বাসের ছাই
যাদের পেশা ছিল ছারপোকার মাতৃভূমিতে যুক্তি দিয়ে অন্যের মতখণ্ডন
.
কেন জানি না আমি
গুজবে কান না-দিয়ে যারা জিভ দেয়াটাই ভালো মনে করে
তারা যখুন অশান্তিকে শান্তি বলে মেনে নেবার জন্য থাকা-খাওয়া ফ্রি করে দিলে
স্বনামের কবর থেকে বেরিয়ে এলো জয়যাত্রা নামের বিষকালিমাখা খোঁয়াড়
সবাই চেল্লাচ্ছিল বিপ্লব চাই বিপ্লব চাই কিন্তু চাকরিতে বদলি চাই না
.
কেন জানি না আমি
প্রেমিক-বর্জিত গর্ভবতী যেদিন ব্যাঙডাক প্রতিধ্বনিত কুয়োয়
ভেসে উঠল — খুনির ব্যবহৃত স্মৃতিভারাক্রান্ত বাটখারাটি মুদির দোকানে
সত্যনারাণের সিন্নির জন্য আটা ওজন করতে সাহায্য করছিল
হাবভাব তো এমন যেন ডাঙায় তোলা মাছকে দখিনা বাতাস কাতুকুতু দিচ্ছে
.
কেন জানি না আমি
আঘাত তার ব্যথার স্মৃতি যত দ্রুত ভোলে তারচে তাড়াতাড়ি
দেখলুম লাশের কপাল বেয়ে সন্দেশচুরো মুখে শ্মশানপিঁপড়ের মিছিল
১৭ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৯৯

মন্তব্য করুন