Skip to content

ভয়ংকর সংগ্রামের নাম তসলিমা – রীনা তালুকদার

নারী উন্নয়ন
দুটি নামই আসে ঘুরে ফিরে
একজন বেগম রোকেয়া
আর অন্যজন
তসলিমা নাসরিন
আর হয়েছে যা
এ দুজনের মুখের খড় বিচালি নিয়ে
কেবলই জাবর কাটা

এরা দুজনের একেকজন
পৃথিবীর নারীকূলকে পাঁচশো পাঁচশো
একহাজার বছর এগিয়ে রেখেছেন
সশরীরে তসলিমাকে
জন রাস্তায় আক্রমণ যারা করেছে
সাদা কালো নারী এরাও
কী বাহাদুরি হাততালি, হাসাহাসি
এই নারীরা জানে না
নিজেরাই করছে নিজেদের বস্ত্র হরণ

তসলিমাকে আক্রমণ না করলে কী
হটকারীদের রাজনীতি থাকে !
তসলিমা আছে বলেইতো
বোবা নারীদের কথা বলা,
রাজপথে নেমে তসলিমাকে
আক্রমণ করার শক্তি হয়েছে
তসলিমার সংগ্রাম আর কিছু না হোক
ঘর থেকে বেরিয়ে নারীরা
পিচঢালা রাস্তায় তাকে
এবড়ো থেবড়ো আক্রমণ করা তো শিখেছে

মুখরা তসলিমা আছে বলেইতো
টিকে আছে নারীবাদীবৃক্ষ
আর সব ব্যানারভিত্তিক নারীবাদী
এনজিও’র পকেটে আশ্রয়ে

তসলিমা না থাকলে তো পৃথক ধর্মগ্রন্থ
পৃথক অভিধান, পৃথক দেশ
তৈরী হতো এতদিনে
নারীদের জন্য তসলিমা না থাকলে
পরকালের একটা স্বর্গও তৈরী হয়ে যেতে পারে!
তসলিমা মানেইতো
ভয়ংকর এক সংগ্রামের নাম
তসলিমা আছে বলেইতো
রাজনীতিকের মনের মঞ্জিল হয় পূরণ

তসলিমাকে আক্রমণ করাতেই
বিশ্ব দেখলো নারীবাদীর শিকড় টিকে আছে
আগামী পাঁচশো বছরে
যত নারী জন্মাবে তাদের মধ্যেও হয়তো
একটি নামই সবাই বলবে
তসলিমা নাসরিন
যেমন বেগম রোকেয়ার কথা বলে

একবিংশ শতাব্দীতে একটা মানুষই
শব্দ বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার করেছে
সে শুধুই তসলিমা নাসরিন
কেউ কেউ একটু আলোর ঝলকানি দেয়
সে আলোর কণা আর এগোয় না বেশী
সেদিন নয় বেশী দূরে
নারীরা বুঝতে শিখলেই
পরম যতেœ পড়বে
তসলিমার ‘ক’, নারীর কোনো দেশ নেই,
লজ্জা, আমার মেয়ে বেলা
ঘাত প্রতিঘাত সয়ে আক্রমণের পেট থেকে বেরিয়ে
তসলিমা জানান দেয় সে শক্তি সামর্থ্যে এখনো বেঁচে আছে।

মন্তব্য করুন