Skip to content

ভূবন দিদি তোর জন্য—–

ভূবন দিদি তুই আমার
বনভোজনের দিন
আলোয় রাঙা চিলেকোঠায়
পুতুল বিয়ে খেলা,
ভূবন দিদি তোর কাছে মোর
কিশোর বেলার ঋন
কোথায় থাকিস কেমন আছিস
কার পাশে পথচলা?

মনে পড়ে ভূবন দিদি
শীতের কাঁথা মুড়ি
গল্প বলার আসর জুড়ে
চলতো অভিমান,
জানলিনা তুই কখন গেছে
গল্পদাদু চুরি
শুনতে কভু পেলিনা তুই
মন খারাপের গান।

ভূবন দিদি জোৎস্না মেখে
পলাশডাঙ্গার বনে
দাঁড়িয়ে থাকিস আমার জন্য
অধীর অপেক্ষায়?
আমার মুখের আদল খানি
আছে কি তোর মনে?
হাত ধরে কি বলবিনা আর
চুপি চুপি আয়।

ভূবন দিদি তোর আকাশে
মেঘ ভাসেরে
বৃষ্টি নামলে ভিজিস আজো
নেচে ওঠে মন?
ভূবন দিদি আমার স্মৃতি
কড়া নাড়ে?
পাশাপাশি হাঁটছি দুজন
শান্তিনিকেতন।

একলা যখন দাঁড়িয়ে থাকি
দোতলার ওই ছাদে
রাতের আকাশ ভরিয়ে দিয়ে
ভেসে বেড়াস তুই,
পুলক জাগে শরীর জুড়ে
কতই না আহ্লাদে
মন ছুটে যায় তোর দেশেতে
আমি তোকে ছুঁই।

সেই ছবিটা ভূবন দিদি
জংলা নদীর পার
অথৈ জলে নামবি বলে
হাত রেখেছিস হাতে,
নদীর কাছে ফিরবিরে বল
কেমন করে আর
বিসর্জনের সুর বেজে যায়
এখনো রোজ রাতে।

মন্তব্য করুন