Skip to content

বেইচতে নারি! – ভোলাদা

পলাশ বনের ধারে
যাইতে ছিলি চাড়ে
দেখলি কটা ভুখা শিয়াল
ভুইকছে আড়ে আড়ে।

লকলকায়ে ঝইরছে লালা
দাঁতে থাবায় বিষ
চইখে মুখে ভোকের জ্বালা
হাইমকে দিলো শিষ।

দাঁড়ায় গেলি পিছন ঘুইরে
বুক চিতায়ে মনের জোরে
বললি হাঁইকে আয় ন শালা
দিবো খতম কইরে।

হামি ঝুমি গাঁয়ের বিটি
প্রয়োজনে ধইরব লাঠি
পেট ভরাতে গতর খাটি
মাথা উঁচা কইরে।

শিয়াল গুলান ভয়ে কাতর
বুইঝে শুইনে দেইখে বতর
সুরসুর কইরে পলায় গেলো
বনের ভিতর দূরে।

বাগান মাঁচার লাউ খাঁড়াগা
কচকচায়ে আনলি কাইটে
গুইনে গুইনে বাঁইধবো আঁটি
বিকতে যাবক ঝাঁড়গাঁ হাটে।

কাড়াং ছাতু পুঁটকা ছাতু
উঁই ছাতুটাও দামী বটে
সকাল সাঁঝে কুড়ায় হামি
শালের বনে, মাঠে ঘাটে।

শুশনি গিমা কলমী লতি
ভইরলে ঝোড়া বেদম টাকা
রোগ অসুখে সবেই ফুঁরায়
সাধ্যি আছে জমেয় রাখা?

ইমন করিই চলে হামার
গা গতরে খাইটে খাইটে
জুইটতে পারে সিজা পুড়া
কুনহ রকম দিন তো কাটে!

গাঁয়ের মড়ল, আফিস বাবু
বাবুর ব্যাটা জুয়ান মরদ
আড়ে আড়ে ভাইলে মরে
হামার উপড় বেদম দরদ!

হাটে বাটে দিখা হলেই
উস্কানি দেয় কথায় কথায়
বলে, গতরখানা ঝইরে গিলে
একলা তখন যাবিস কুথায়?

হামার মরদ কানহু মাঝি
গেইছে বনে ভিটা ছাইড়ে
জানি নাইখ ফিরবে কি ন
মায়ের তরে নাই সে ডরে!

বলি কাকে মনের কথা?
জইমে জইমে দুখের বোঝা
সইতে নারি একলা নারী
জীবন চলা নাইখ সোজা!

ইকটা কথা বইলতে পারি
সকল বেচি ঘুইরে ঘুইরে
একটু খানিক সুখের তরে
বেইচতে নারি আপনারে!

মন্তব্য করুন