Skip to content

বেঁচে থাকি, মাঠে ও মর্মরে – ইশরাত তানিয়া

নিঃসঙ্গতার অন্ধ প্রজাপতি আমাকে ঘিরে ওড়ে
কেন যে এমন দাঁড়িয়ে থাকি কোন আসমানি ইশারায়!
যদি আমার আগুন থেকে ঘষে মরিচা তুলি,
যদি পাথর কেটে কেটে নির্মাণ করি তোমার গ্রীবা,
মুখের আবছা রেখা- জল দোলানো চোখের কোণ-
জানি, রঙ্গিন পালক বুলিয়ে অন্যকোন মুখে
তুমি রহস্য বিবশ জাদুর খেলা হয়ে যাও।
পাথর ছেনে নির্মিত মরণশীল দেহ আত্মার বাড়ি।

ধুসরতর খাটের পাঁজরে ঘুন পোকার ক্রমাগত ক্ষয়ে
যাওয়ার শব্দ আমাকে কি বোঝাবে?
ভালবাসা কে একবার ভালবেসে তুমি চলে যাও
অন্তত একবার পথ হারাও- এসব আর ভাবিনা
এমন আকালে পূর্ণপক্ক ফসলের কাল্পনিক মাঠে,
কবে আর সোনালি আলো চুমু দেয় ধানের সমৃদ্ধ শীষে!
তবু আমি কেন যে এমন দাঁড়িয়ে থাকি, কিছু বেঁচে থাকি
শুকনো খড় ভস্ম হয়- অদৃশ্য আগুনে- পাথর পুড়ে যায়
এলোমেলো দিনগুলো আরো অগাধ এলোমেলো তোমার আশ্রয়ে
আমি চলে যাই না, তুমিও ফিরে আসো না নিস্ফলা দেশে।
স্বপ্ন আর বোধের উপরে ঝরে পাথরের গ্রীবা চাঁছা গুঁড়ো
কিছুপরে সে ধুলোও হারায় বাতাসের সাথে মিশে মিশে,
পৃথিবীর পথ শেষে তুমি হেঁটে যাও আকাশের পারে
পাখির ঠোঁটে বোনা অন্য জীবনে-
ঘুঘুর তীব্র ডাকে আমাদের অগণন মুহূর্ত ফিরে ফিরে আসে
আমার ক্লান্ত হাত তোমার সান্ধ্য হাতে গন্ধরাজের উদার পাহারায়-
সেই থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে অন্তহীন অপেক্ষার শুন্য ইশারায়।

মন্তব্য করুন