Skip to content

বিশ্বপিতা

তোমার সারা শরীর উলঙ্গ করে
খুঁজেছি ধর্মের সীলমোহর,
কোথাও কোন চিহ্ন পাইনি,
শুধু যেটুকু পেয়েছি বিবর্তনের স্বাক্ষর।
ধর্মযাজকের উন্নত মস্তিষ্ক কোষের হাত‌
ধরে শুরু হল বর্ণভেদের যাত্রা।
বেদ, উপনিষদ, পুরানের বিকৃত অর্থে
ধীরে ধীরে ছাড়াতে লাগল তার মাত্রা।
যা ধারণ করেছ তা ধর্ম না হয়ে,
যা পালন করছ, ধর্ম হল তা‌ নিয়ে।
একটাই প্রজাতিকে হাজার হাজার জাতিতে ভেঙ্গে দিলে,
পারস্পরিক বিদ্বেষ, ঘৃনা ছাড়া যা কিছু সুন্দর সব কেড়ে নিলে।
শুরু করলে দেবদেবীর পুতুল নাটক,
কত নাম দিলে তাদের,
শুধু মানুষকে মানুষ করলে না।
দিলে ধর্মের ঠুলি, জাঁকজমকের চটক।
কোথা থেকে এই সূত্রের আমদানি করলে
যে ঈশ্বর এক সুন্দর কার্যালয়ে বসে,
মন্ত্রীসভার মত অনেক দেবদেবী নিয়ে,
এই বিশ্বব্রম্ভান্ডের সব দপ্তর চালাচ্ছে,
‌নাড়ছে কলকাঠি।
মোটেই না, একেবারেই না,
বরং এ তোমারি কাঠিকল।
মেকী সভ্যতার জীয়নকাঠী।
তাদের আবার নানা ধর্মে নানা নাম,
সত্যিই তোমার বানিজ্য বুদ্ধিকে আমার সেলাম।
আসলে তোমার তো চাই শুধু ভক্ত,
বিভীষণকে ধরে রাম রাজত্ব,
আবার কোথাও নিষ্পাপ শিশুর রক্ত,
বেয়নেট চুবিয়ে জেহাদের বীরত্ব।
আসলে ঈশ্নরের দোহাই দিয়ে,
নিজের নিয়ন্ত্রন।———
কৃষ্ণগহ্বরের ঈশ্নরকণা যদি সত্যি হয়,
তাহলে তোমার শাস্তি হবেই।
কারন তুমি এই সৃষ্টি রহস্যের
সবচেয়ে নিকৃষ্ট অনিচ্ছাকৃত উৎপাদন।
তাবড় পন্ডিতকেও কত অল্পে
আচ্ছন্ন রেখেছ মহাকাশের অজানা
স্বর্গ।লোকের রূপকথার গল্পে।
বেহেস্তের স্বপ্নপরীদের সাথে ঝরনাস্নান,
সেই স্বপ্নে বিভোর হয়ে
কাড়ল কত নিষ্পাপ নিরীহ প্রান।
তোমার ধ্বংস আগত—-
তুমি আমাকে গ্ৰেপ্তার করতে পারো,
তোমাকে স্বাগত।
তবু যদি আবার হিমযুগ আসে,
বা কোন জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের পাশে,
আমি মঙ্গলদ্বীপ জ্বালাব,
শুধু কবিতা, তুমি দাঁড়িয়ে পাশে
শঙ্মধ্বনিটা দিও——।
কারন তোমাকে আমার প্রয়োজন।
নাহলে গড়তে পারব না,
আমার পরমাত্মার বিশ্বজীবন।
থেমে যাবে এই মৃত্যুমিছিলের শোক,
আমার ঔরসে তোমার গর্ভে নাস্তিকের জন্ম হোক।।

মন্তব্য করুন