Skip to content

বন্দিজীবন (স্তবক ০১-১১) -মাহমুদুল মান্নান তারিফ

  • by

০১.
দুর্ভর বেমানানে অচলন যকৃত,
দুর্বল বেসামালে প্রচলন সকৃৎ।
অবসান মুক্তির,
অবদান যুক্তির,
নির্দয় নিন্দিত বেখবর অস্মৃত,
নিশ্চল নির্জীব সে সবর অকৃত।
০২.
ফাটাছেঁড়া বুকখানা বিষাদিত নির্জল,
ময়লাটে মুখখানা বিকাশিত নির্মল।
কীসে মত করবার
কী সেপথ ধরবার?
সাধনার পথধরে ফলপাক নিষ্ফল,
প্রার্থনা প্রেমময়ে রবপাক দিস ফল!
০৩.
ভ্রান্তির জল্পনা শ্রান্তির আহারে,
শান্তির গল্প না ক্লান্তির বাহারে।
যে মুখেই সান্ত্বনা,
সে দুখেই ক্লান্ত না,
ক্লিশিতএ দেহরোগে বেদনার চাপা-রে,
দোলায়িত মনমথে চেতনার ছাপা-রে।
০৪.
অসুস্থ পান্থও –সস্তাতে বিশ্বাস,
বেষ্টনে ক্লান্তও, সত্ত্বাতে নিশ্বাস।
নির্জন ঝঞ্জায়
হৃদ্যের পঞ্জায়
আন্ধ্যার পাত্তাতে, আত্মার ফিসফাস!
সন্দেহ আত্মাতে, ভীত মনে বিষ চাষ!
০৫.
শতভুল ক্ষমাচায় কমা পায় কিঞ্চিত,
বাধা নেই শতগজে ধাঁধাখেই ইঞ্চিত।
মারপ্যাঁচে বন্দিও
কার শেষে সন্ধিও?
ফন্দিতে যার কড়া, সশরীর সিঞ্চিত,
যাচ্ছেনা আর ধরা, অশরীর শিঞ্জিত।
০৬.
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে পাই অতি কষ্ট,
বিশ্বাসে অনিবাসী তাই গতি নষ্ট।
নির্ধুম শিবিরে
নির্ঘুম তিমিরে
দেহলিও হাতছাড়া মতিগতি ভ্রষ্ট,
রাতজাগি সন্দেহে নই ব্রতী স্পষ্ট।
০৭.
সংশয়ে দেহে শিরা-উপশিরা স্তব্ধ,
সংকটে নাকরেও উপোষীরা শব্দ।
নিশ্চুপ একদম!
শঙ্কাতে হ্যাকদম!
সারহীন বকাঝকা-কথকতা জব্দ,
অজ্ঞানে ছাড় যা তা সজ্ঞানে লব্ধ।
০৮.
কেউ ভাবে শত্তুর কেউ ভাবে সজ্জন
কেউতো বা বদ্দুর পুরীষেরে মজ্জন।
প্রাণভীত যন্ত্রণে
অবসিত মন্ত্রণে
ব্যথা লাগে তন্ত্রণে – দলে যাই বদজন
ভাষারসে ঝাল দিয়ে মলে যাই পথজন।
০৯.
স্থিতিশীল না যেহেতু বাজিয়েছি ডঙ্কা,
অস্থির হ্যাঁ সেহেতু সাজিয়েছি লঙ্কা।
চোখ বলে লজ্জা!
শোক দলে মজ্জা,
নাশী ফুলসজ্জাও কষি দূরে তঙ্কা,
অসহ্য সমীরণে বুকে ঝড়ঝঙ্কা।
১০.
ক্রোধহীন মন সয়-দাঁত তবু কড়মড়!
বোধহীন জন কয়-যদি ঘর নড়বড়।
পাকাগেহ স্বর্গও!
কাঁচাগেহ মর্গও!
না অসার স্বরজ্বলে-সমীরণে মড়মড়,
হ্যাঁ খসার ঝড়জলে অন্তর ধড়ফড়!
১১.
কাপুরুষ নাম্বারে বাটপাড় একত্রিশ,
না পুরুষ হাম্বারে পাঠ কার দেখছিস?
যদিবা সে মাস্টার,
সমও না ডাস্টার,
গুণেছিস তোর করা ভুল কতো ছত্রিশ?
মুখে চড় মেরে দিবো ফেলে দাঁত বত্রিশ।

রচনাঃ ১০/০৯/২০১৬ ইংরেজি

মন্তব্য করুন