Skip to content

প্রতিশোধের অতৃপ্ত তৃষ্ণা

তোমার রূপের আগুনে যাকে পোড়াতে চাও
সিলিঙে ঝুলে থাকা ফ্যানটাকে দেখে
মাঝে মধ্যে তার বড্ড হিংসে হয়।
“ইশশ! আমিও যদি এভাবে ঝুলে যেতে পারতাম।

খোলা থাকতো চোখ
বেরিয়ে আসতো জিহবা।
জীবনের আকাঙ্ক্ষায় শেষ মুহুর্তে
ফাঁস খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম,
এমন উদ্ভট দাবী করতেন পাশের বাসার ভাবী-
যিনি চোখ দিয়ে দেখেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে পারেন!

পুলিশ আসতো,
ডোমেরাও আসতো,
সাথে আসতো লাল পিঁপড়ের ঝাক।
আরো ভালো হতো যদি আসতো শকুনেরা।
ছিন্নভিন্ন ক্ষত-বিক্ষত বীভৎস চেহারায়
তখন আমি তোমার সামনে আসতাম
ভয় দেখাতাম প্রাণ খুলে।”

এই ভেবে “বিষন্ন সুন্দর” স্পিকারে বাজিয়ে
ঝুলে যেতে চায় সে।
কিন্তু তার মৃত্যু মানে যে বিষন্নতার মৃত্যু;
কারণ, সে ছাড়া এ শহরে আর কেউ বিষন্ন নয়।

তাই,প্রতিশোধের অতৃপ্ত তৃষ্ণায়
সিলিঙে ঝুলতে থাকা ফ্যানটাকে দেখে
মাঝে মধ্যে তার বড্ড হিংসে হয়।
হিংসের আগুনে পুড়েই সে কবিতা লিখতে বসে।

অতএব,কবিকে আগুনে পোড়ানোর ভয় দেখিওনা,
নিকোটিনের আগুন তার সয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন