তুমি তো সেই-ত্যাজি জঙ্গলার বাঘ,
একদিন আছিলা এই পরাণেরি ঘাস।
মুখের গড়ন পাল্টায়া-আইজ ক্যান,
উঠানের ঘাসের লগে- খাও চোক্কর?
রাইতের-বেলা ডাহুকের মতো ডাকো;
শিস দিয়া – এই বুঝি নতুন ছলনা!
আমার আর নাই কোন স্বাধ;দুরদেশি
ডাহুকের মতো দিকচিহ্নহীন পলায়বার,
আমার কনিষ্ট অঙ্গুলি কেঁটে ছক।
ধনেশের কথা আমার ছিলই অজনা।
আমার হিয়ার ভিতরে হিংসার ছাপ-
তোমারে দেইখ্যা মনে হয়;বহুত জামানা
বাদে আইছো মাটিত থিন উইঠ্যা,
তুমি আফ্রিকার-কালো তমাল তম সাপ।
তুমি লাল রঙা -সেই বিষাদের বাঁশি,
ধনুকের ছিলার মতো-দিনের বেলা;
জাগাও আমার এ কাঁচা হিয়ার কাঁপন।
তুমি বনে বনে ঘুইরা -এহন ভিনদেশি!
আর মনে নাই তোমার মুখের গড়ন।
তুমি আছিলা সোনার স্বপনে;আইজো
দ্যাখি তোমায়, -যখন আছিলা হাঁপন।
তোমার কি জানা নাই আর কোন পথ,
আমার যে ভালো লাগে ঘাসের কথন।
*কাব্যগ্রন্থ:-(পরাণের ঘাস)-২০১৬,হিমেল কবি।