Skip to content

পরাণের ঘাস-১-হিমেল কবি

আমি কারে লয়া করুম এ ঘর!
সোনার সংসারখান বুঝি খাড়ায়া
আছে ভাঙা চালের ঠাঁটের উপর।
আমি কারে গিয়া জিগামু কও;
সে ক্যান পুণ্যিমায় চান্দের পানে-
চাইয়্যা থাকে চাতকের মতোন।
ক্যান সে তাকায় না বৃক্ষের পানে-
কতকাল ঝিম ধরে আছে এ পরী
উঠানের নিমরঙা চালতার ডালে।

গেরামের বেবাক লোকে কয়;
তুমি রসিক আছিলা একদিন,
তয়,এমন নিরস হইয়্যা আইজ-
ক্যান মুছো চোখ,পরাণের ঘাসে।

তোমারে একলা ফালায়া আমি;
উনানের তাপ সয়,টেকে না মন-
বুঝি এই আইন্ধার পাড়ি দিয়া তুমি
থুয়া যাইবা আমার নিছক স্বপন।
আমার কইতে শরম নাই আইজ;
ছোট এই দেহঘরে নাই কোন ডর,
উড়াল দিয়া যাও এ সংসার থুয়া
যেই দ্যাশে নাই কোন বাড়ি-ঘর।

কি ছিলো দ্যাখনের,হরিণের তাজ!
সিংহের দু’পাটি চোয়ালের ভিড়ে-
সংযত বিঙ্গ ডাহুকের দাঁত।
মধ্যাহ্নবেলা অসাড় পা মেলে-সেই
তুমি গেয়েছিলে সুন্দরি গীত,
তোমার বুঝি তাও মনে নাই আজ!

পরনের হলুদ-শাড়িখান পরি’না আর;
উঠানের ঘাসে লেগে কচু-পাতা রঙ,
আইজ তোমার চিবুক ছুঁয়া দ্যাখি-যেন
আমার সেই সংসার নাই বুঝি আর-
দ্বগ্ধ-ঘরের খুঁটি ধরে খারায়া আছি,
তুমি নিথর ঘুমায়া আছো চিতার উপর!

তোমার আর নাই-দিন তারিখের পাঠ:
এক কোটি দিনে হয় হাজার বছর,
আইজ থিইক্যা তুমি এই পরাণেরি ঘাস
বাইন্ধ্যা রইলো এই শাড়ির আঁচল।

কাব্যগ্রন্থ:-(পরাণের ঘাস)-২০১৬,হিমেল কবি।

1 thought on “পরাণের ঘাস-১-হিমেল কবি”

  1. হিমেল কবি (সাহিত্য সন্তান)

    “পরাণের ঘাস-১” “পরাণের ঘাস” নামক কাব্যগ্রন্থ হতে একটি সংকলিত কবিতা।যেখানে আমি ব্যাক্তিত্বের স্ব-
    রচনা শৈলি প্রয়োগ করেছি।

মন্তব্য করুন