Skip to content

নিরিবিলি ইচ্ছের ঝিলমিল অসুখ – ইশরাত তানিয়া

মেয়েটি এগিয়ে যায় সিংহের থাবার দাগ কপালে নিয়ে
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত স্নান চন্দনের প্রলেপহীন
উজ্জ্বল করতলে টুং টাং বাজনা বাজিয়ে পথে পথে
ভোরের কৃষ্ণচূড়া অপরাহ্ণের জারুল দু’হাতে ছড়িয়ে
সুগন্ধি ঈশ্বরী- পৃথিবীর সমস্ত কবিতার আবেশ নিয়ে চলে যায়-

তীব্রতর যৌবনের উন্মুখ দিনরাত্রির বেদনা ঝরানো সুরে
বাউল রৌদ্র ভরা আঁচল উড়িয়ে।
ভীষণরকম হারিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে ভালবাসব কিনা
এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় নানাবিধ অভিজ্ঞতার
বিভিন্ন পর্যায় বিবেচনায় এনে
সামাজিক আচার এমনকি প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার
যাবতীয় ফুটো-ফাটা দিয়ে আমি হেঁটে যাই নক্ষত্র নেবুলার দিকে চেয়ে
কিছু ক্ষুধার্ত পথশিশু আমার নেতৃত্ব নিয়ে অহেতুক
প্রশ্ন না তুলে পিছু পিছু চলে প্রাপ্তিযোগ নিয়ে যারা সন্দিহান হয়।
মেয়েটি আশ্চর্যরকম ফুরিয়ে যাবার আগেই বলেছি
আমার এক ঝলমলে কষ্ট আছে, আছে এক বুক গভীর অসুখ
ওমনি সে প্রাচীনা বৈদ্যের মতো অহোরাত্রির অশ্রু আর টুপটাপ শিশির
(তোমরা যাকে সঞ্জীবনী সুধা বলো) গলায় ঢেলে দেয়
কোজাগরী চাঁদসহ বৃক্ষের চরাচর দিয়ে পাওনা মিটাই,
উড়ন্ত জোনাকি জ্বালিয়ে চলে যায়- যে শাশ্বতী স্বাগতা।
আধখানা ঝলসিত সিগারেট ধোঁয়া আর তার ‘না-থাকা’-
কমছেনা বাড়ছেই নিরিবিলি ইচ্ছের ঝিলমিল অসুখ,
আজ রাত্তিরে ঘুম নেই, যে যা-ই বলুক-
এ এক অন্য জীবন ভিন্ন হাহাকার যাপন করছি অমোঘ বিন্যাসে।

মন্তব্য করুন