Skip to content

দিবারাএি – সন্দীপ দও

আতাগাছের আলোয় তার বাড়ি ফেরা।
একটুকরো চিনি কাঁধে করে
রাএির আগে ঘরে পৌছানো
মোটেই সহজ নয়।

সারাদিন অনেক চিনি বইতে হয় তাকে।
ভরতে হয় চিনির বয়াম
কখনো মাটির নীচে,
কখনো গাছের গায়ে গভীর কোটরে,
আর সেই সব উঁচু ডালের উপর বারান্দায়
যেখানে পাখিরা শুকোতে দেয়
গোলাপি রঙের প্যান্টি, ভিজে তোয়ালে,
যেখানে জোনাকের মাসোহারা চলে
তারা দিনকে ফুরোতে দেয় না কিছুতেই।

মাথার ঘাম পায়ে পড়লে
সারাদিন ধরে
তবে একটুকরো চিনি পাওয়া যায়।
একটুকরো চিনি কাঁধে করে
রাএির আগে ঘরে পৌছানো
মোটেই সম্ভব নয়।

মৌচাক ভেঙে মধু দিয়ে দিতে চায় মৌমাছিরা
কিন্তু একটা পেয়ালা জোগাড় হয়নি
গত কয়েক বছরে,
সামনের মাস বারেবারে সামনেই থেকে যায়।

বুনো ফুলের রসে
তালমিছরি মেশালে নাকি খুব নেশা হয়
কিন্তু এখন চিনিকেই তালমিছরি ভেবে নিতে হবে।

তালমিছরি মেশানো মদ
আর দারচিনির তক্তপোশ,
দুই-ই একসাথে নিতে হলে
আগে দিতে হবে আয়কর।

আতার গন্ধে মাতাল হয়ে বাড়ি ফেরা প্রতিদিন
কিন্তু আতাগাছে তোতাপাখি বসে চিরকাল।
আর পিপড়ের বউ বসে উনুনের পাশে
বালিতে ভাপিয়ে রাখে চীনে বাদাম
গুড়ো করে রাখে
বিটনুন…

মন্তব্য করুন