Skip to content

তবুও দিন শেষে হাসি মুখে

তবুও দিন শেষে হাসি মুখে
———————-এস.আই.তানভী

মাটি থেকে প্রায় ষাট ফুট উপরে
মেশিন আর মেশিন দিয়ে গিজগিজ করা
এক প্রকাণ্ড ঘর, জানালা আছে
জানালা দিয়ে আলোও আসে, বাতাসও
আসে মাঝে মাঝে, জানালার বাইরে গগন জ্বলা
মাটি পোড়া রোদ, উত্তপ্ত প্রকৃতি-
সেখানে কাজ ছিলো আজ সারাদিন
মেশিনের সাথে জোড়পাকড়, ধ্বস্তাধস্তি; তাই
একটা স্ট্যান্ড ফ্যানকে সচল রাখা হয়েছিলো
তবুও শরীরের হাল বড্ড নাকাল।।

অথচ, সরাসরি সূর্যের ঝাঁঝালো রোদ
গায়ে মেখে যারা
ক্ষেতে হাল চাষ করে, কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে
ধান গম ভূট্টা কেটে বাড়ির উঠোনে এনে
মাড়াই করে দরদর ঘর্মাক্ত দেহ বলে
ইটের ভাটায় ইট বানায়; সেই ইট এই ঝাঁঝালো
রোদেই শুকায়, আগুনে পোড়ায়
ঝাঁঝালো আকাশটাই মাথার উপর
তাবু’র কাজ করে,
বাজার স্টেশনে কুলির কাজ করে
বড় বড় দালান কোঠা, ইমারত গড়ে তোলে–
তাদের জীবনের কথা একবার ভাবুন।

সত্যি বলতে কী! সবাই সবার জায়গায়
ঝলসে যাওয়া চিংড়িমাছ
তবুও দিন শেষে হাসি মুখে ঘরে ফিরে—
এইতো জীবন, এইতো নিয়ত নিয়তি।
———————-
১০/০৬/১৮ইং

মন্তব্য করুন