Skip to content

ঝলসানো স্মৃতি থেকে

ঝলসানো স্মৃতি থেকে
—————–এস.আই.তানভী

সে এক চৈত্রের জ্যোস্না প্লাবিত রাত
বৈরি আবহাওয়ায় হটাৎ একঝাক কুয়াশার আগমন,
আধামরা পাথরাজ নদীটার পশ্চিমে পাকা রাস্তা ধরে
জ্যোস্না মাখা কুয়াশার বুক চিড়ে হাঁটতে ছিলাম দু-জন।

নদীটার সাথে রাস্তাটাও এঁকে বেঁকে চলেছে,
পনে এক ক্রোশ হাঁটার পর একটা ঘন বাঁকে রাস্তাটার
পশ্চিমে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়ানো এক মুগ্ধকর বটগাছ।

সে রাতে আমরা ওই বটগাছের মোটা মোটা শিকড়ে বসলাম,
জ্যোস্নার আলোয় গাছের গোড়া অন্ধকারের চাদরে ঢাকা,
এসেছি দুজনে বাক্যহীন, শুধু প্রকৃতির চারপাশ দেখে দেখে,
এখনো অনেকক্ষণ নিরবে বসে আছি; চারিধার নিঝুম,
মাঝে মাঝে দু-একটা ভ্যানগাড়ি আর সাইকেলের চলাচল।

হটাৎ সে আমার হাত ধরে বললো- “তোমাকে কখন, কিভাবে
ভালোবেসে ফেলেছি জানি না, তুমি আমায় গ্রহণ করবে?
বিত্তের মাপ-কাঠিতে ফেলে, আমায় অনেক উঁচুতে তোলে,
যদি গ্রহণ না করো- ক্ষতি নেই; শধু মনে রেখো- ভালোবাসা
কোন মাপ-যোগ বুঝে না, মানে না- তাই, ভালোবেসেই যাবো।”
জ্যোস্নার আলোয় হৃদয়পুর যেন ঝলসে গেলো—-
তার স্পর্শে সমগ্র শরীর ঝিমিয়ে এলো, “হ্যা” কিংবা “না”
কোনটাই বলতে পারি নি, তবে নিরবতা বরাবরই “হ্যা” সূচক।

স্বার্থক কেউ হতে পারি নি, বহুকাল কেটে গেলো
যোগ-বিয়োগের খেলায় লড়াইয়ে লড়াইয়ে, জানি না-
সে কি আজও ভালোবাসে? কথা গুলো কি তার মনে আছে?
তবে বট গাছটা আজও আছে- আরো অনেক সুন্দরী হয়েছে,
জোয়ার ভাটার খেলায় আধামরা পাথরাজ নদীটাও আছে,
আমিও আছি, শুধু- নেই সে, যে প্রেমের জন্ম দিয়েছিল মনে।
———————–
০৩/০৪/২০০৭ইং।

মন্তব্য করুন