আজ চাঁদের বুকে
ঐ পৃথিবী থেকে পুরো আস্ত হিমালয়টা
এনে বসিয়ে দিলাম
এখন তুমি- আমি দিব্যি আইসএস্কেটিংএ
বিভোর থাকবো
বলো বিষয়টা খুব অস্থির না; তাই না!
– হুম, ভালোই
– চলো এগোই
– চলো। স্লো বেবি স্লো
– নো। আমার কিচ্ছু হবে না
– এই ফলো বেবি ফলো
– ওকে
– এই তো তুমি পারছো! এভাবেই ঠিক আছে। এই দাড়াও দাড়ও। উহ্ লাগলো তো! নো নো
অল্প কিছু দূর যেতেই হঠাৎ ধপাস একটা শব্দ
-ওহ! নো এটা কি করলে বেবি! ওহ! নো!
ইস্ তুমি কোথায় চোট খেলে! দেখি
– এইখানে; উহঃ
– দেখিতো! কি হয়েছে! ওহ!
বেবি কিচ্ছু হবে না দেখি- দেখি
– ওহ মাই গড! জান মাই লেগ! উহঃ!
মাই লেগস্ ব্রোক; উহঃ হু হু
– কিচ্ছু হবে না বেবি। দেখি
এখানেতো তুমি- আমি ছাড়া
অন্য কেউ কোন মানুষও নেই! কি করবো যে!
দেখি; ব্যাথা কি বেশি লেগেছে?
– না; উহঃ একটু আস্তে
– দাড়াও আমি তোমার লেগ গার্ডটা খুলে দেখি
– কোথায়?
– আর একটু নিচে তো
– হাটুর?
– হ্যাঁ
– এই তুমি আবার নিচ থেকে
উপরে উঠতে বলবে নাতো? হা হা হা
– এই কি হচ্ছে এসব! দুষ্টু কোথাকার
ফাজলামি করা হচ্ছে! উহঃ ব্যথা
– না বাবা! যা ভয় পাচ্ছিলাম না!
ভাগ্যিস কেঁটে রক্ত বেরোয়নি
সব ঠিক আছে। সেরকম কিছু হয়নি।
একটু চোট লেগেছে তোমার
ও তেমন কিছু না
দাও তাড়াতাড়ি গার্ডটা লাগিয়ে দেই।
জানো তো হাইপোথেরামিয়া;
ফ্রোজবাইট
কি যে উল্টোপাল্টা, উদ্ভট
কঠিন-কঠিন নাম রেখেছে মানুষ
উচ্চারণের জিভের গায়ে জ্বর উঠে যায়
– হা হা হা। তুমি না কি যে বলো!
– কি ঠিক আছে এবার?
চলো এগিয়ে যায়
– আচ্ছা চলো
– ঐ দূর টিলাটার কাছে গিয়ে দাঁড়াবে
আমরা চা পানের বিরতি দেবো; কেমন
– আচ্ছা
– দেখো দেখো! সামলে; পরে যাবে কিন্তু আবার—!
– এই খোকা ওঠ। ওঠ না। কি সব বকছিস সামলে সামলে! বাজারে যাবি না?
– ওহ! নো! দিলে তো মা সব পন্ড করে! কি করলে যে!
– কি করছি আমি! তুই-ই তো বললি সকাল সকাল উঠিয়ে দিতে
– কি সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছিলাম; দিলে তো সব শেষ করে
– এবার ওঠ। তোকে আর স্বপ্ন দেখতে হবে না। কটা বাজে দেখেছিস?
– যাচ্ছি তো। একটু স্বপ্নও শান্তিতে দেখতে দেবে না কেউ!
– তোর স্বপ্নের গায়ে জল ঢেলে দেবো কিন্তু।
হা হা হা
– মা তুমি না সত্যিই
– আমি কি বল বল শুনি
– সত্যিই একটা মা
– যা বাজারে যা। আবার এসে ঘুমিয়ে স্বপ্নের বাকিটা দেখে নিস
– হা হা হা
(দুজনেই একসঙ্গে হাসলো)