কালের নিয়ম মেনেই কি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোগ?
যার নামে স্ট্যাম্প পড়েছে মহামারী বা অতিমারি।
ইতিহাসে দৃষ্টান্ত আছে তবে এ যে নতুন বিমারি।
রেশ টেনে প্রতি একশ বছর অন্তর আসে পৃথিবীতে,
নিয়ে যায় বহু জীবন্ত মানুষের প্রাণ,
নিস্তব্ধ করে দেয় শহরের রন্ধ্র রন্ধ্রের উত্তেজনা,
নিঝুম রাতের পার্টিময় গান।
যে শহরের টাইমস স্কোয়ারে জনস্রোত উপচে পড়ত,
আজ যেন তা ভুতের শহর,
সেই শহরের ব্যস্ততা আজ মানুষ খোঁজে,
খোঁজে অ্যাক্টিভ কেস,
বিদায় জানায় শ্বাসকষ্টের মাঝে স্তব্ধ হওয়া শ্বাসকে,
প্রতিদিন মৃত্যুর মাঝে কত লাশ দেখে দেশ।
হু হু করে বাড়ে আক্রান্ত,
মানুষ বুঝে ওঠার আগেই
রিপোর্ট আসে পজিটিভ,
স্টেট অফ এমার্জেন্সি ঘোষণায়
মানুষ নড়ে চড়ে বসে
গ্রসারি, ফুড সঞ্চয়ের
অহরহ হিসাব কষে।
আজ সব শান্ত লকডাউনের শহর,
নিয়ম না মানলেই জরিমানা,
রাস্তা ঘাট জনশূন্য নীরব নগর।
বাড়তি সতর্কতার সাথে
বেহাল শক্তিধর,
ওরা বলছে ভ্যাকসিন সফল,
তার জন্য একটু অপেক্ষা কর।
কিন্তু এরই মাঝে অ্যাক্টিভ কেস বাড়ছে দিন প্রতিদিন,
কীভাবে ঠেকানো যাবে, এসেছে এখন
হ্যান্ড শেক সৌজন্য বর্জনের দিন।
ওরা আর পার্টি কালচারে ব্যস্ত নয়,
সবাই আটকে আছে,
বন্ধ ঘরে এক চিলতে রোদ,
ঢোকার কি অবস্থা আছে?
মানুষ থাকবে না থাকবে ইতিহাস,
এই রোগ মনে করাবে আতঙ্কের নিঃশ্বাস।