বলতে পার- আর কত রক্ত পাত হলে
এই পৃথিবী উর্বর হবে ?
আর কত শিশু ধর্ষিত হলে
এই পৃথিবী সভ্য হবে ?
বলতে পারো কেউ ?
ঐ লাখ জনতার মঞ্চ কাঁপিয়ে যে নেতা
একের পর পর বকৃতা দিয়ে যাচ্ছে !
তার কাছে জানতে চেয়েছি-
কবে বৃষ্টি হবে ?
ফসলের মাঠ ফেঁটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে-
পৃথিবীর কোথায়ও আর কোন নবান্ন নেই-
অথচ সেই নেতা জানে না –
বৃষ্টির খবর !!
কোন বড় পত্রিকার সম্পাদক-
টকশোতে ঝড় তোলা বুধিজীবী-
সেও জানে না-
বার্ন ইউনিটে কেন এত ভিড় ?
কেন মানুষ পোড়া গন্ধে
বাতাস বিষাক্ত হয়ে উঠছে প্রতি মুহূর্তে ?
মানবতা আর মূল্যবোধ যেন পুড়ে খাক হয়ে গেছে !!
ধর্মকে প্রশ্ন করলে বলে-
কলিকাল-অতপর মহাপ্রলয় হবে !!
বৈজ্ঞানিকক বলছে-
হোক- না –! এই সোলার সিস্টেমের বাইরেও আরো অসংখ
গ্রহ-নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে –!
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে মানুষের শরীরকে
এমন ভাবে তৈরি করা হবে –
যেন সে মহাশূন্য গিয়ে থাকতে পারে !!
তবু সেখানেও যদি নানা গোত্রের ধর্ম আসে-
কারো বর্ণ সাদা –অথবা কারো বিবর্ণ হয় !
যদি আবার প্রেম পরিণত হয়
হিংসা আর লালসায় !
হে আমার মানুষ কবি –
আমাকে এক ভিন্ন গ্রহ উপহার দাও-
যেখানে জীবনের তীর্থ হবে –‘’শস্যপূর্ণ ফসলের মাঠ
প্রতিটি হৃদয়ে হবে নবান্নের উৎসব ’’ !
সুন্দর লেখনির জন্য তাপস ঠাকুরকে শুভকামনা রইল।
আমি তাপস ঠাকুর। ২০১৪ সালে কবিতা ককটেল ওয়েব সাইটে আমার সর্বপ্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। ‘স্বাধীনতা’ ও ‘অচেনা গ্রহ’ কবিতা টির আবৃত্তি ইতিমধ্যে, ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে। দুর্ভাগ্য ক্রমে, আমার ফেইসবুক আইডি এখন বন্ধ রয়েছে। ব্যাক্তিগত জীবনে আমার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, যার নাম সাহিত্য ঠাকুর। আমি একটি ব্যাংকে ফরেন ট্রেড অফিসার হিসেবে কর্মরত। আমার যোগাযোগের ঠিকানা,
[email protected]