Skip to content

কল্পকবিতা

যদি কখনো এমন হত, ধরো খা-খা দুপুরে আমি মেঘ,-উড়ছি শুধুই।
আমার ধবল দেহখানি দেখে জুড়ায় কারো মন।
কখনো ধরো সন্ধ্যের পর আমি জোনাক পোকা,
কারো অন্ধকার ঘুপচি আলো করে রেখেছি।
কিংবা ওই দুর্গামন্দিরের পাশের বাগানে ঝিঁ-ঝিঁ পোকার দলে নাম লিখিয়েছি।
এভাবে নাহয় দুপুর গেল, সাঁঝের বাতিও শেষ।
রাত্রি এল নিঝুম হয়ে, আমি কি নিঃশেষ!
নাহ্। আমি তখন বীরপুরুষ, বাস্তবতায় ভরা।
আমি তখন বাড়ির মাঝে পুরুষ বেশে বসে।
ধরো কোনো বৃষ্টিহীন আষাঢ়ে আমার অপেক্ষা করছো সেই বটতলায়,
আমি বৃষ্টি হয়ে ধরছি তোমায় জড়িয়ে।
ধরো কোনো এক শীতের সন্ধ্যায় তুমি কাঁপছো বসে,
আমি পশম হয়ে আঁকড়ে ধরেছি তোমায়, উত্তাপ।
ধরো এক ব্যস্ত সকালে আমি আঁকছি নিজেকে লালরঙে,
ভুলে গেছি কপালের ছোটো কালো তিলখানা আঁকতে,
কাজলচোখে এগিয়ে এসো সেদিন,
আমার অবয়ব পূর্ণতা পাবে তোমার চোখের কাজলে,
আমি নিষ্পলকে দেখবো নিজের পূর্ণ অবয়ব, হে প্রিয়ে।

মন্তব্য করুন