Skip to content

কলাবতী ভবানীপুর – দয়াল দাস

কলার পাতা চিড়ে চিড়ে
সবুজ রঙের চুল বানাবি?
কলার মোচা ছিঁড়ে ছিঁড়ে
কলার ফুলে দুল বানাবি?
চল তোকে দেই বানিয়ে এখন
কলার খাপের নাও,
কলার ফাতর লাগিয়ে তাতে
টানবি সারা গাও।

পাতায় পাতায় লাগিয়ে জোড়া
দারকিনি মাছ মারবি নাকি?
কলা গাছের ভুর বানিয়ে
বিলের জলে ছাড়বি নাকি?
চল তোকে দেই কলার পাতায়
গরম গরম জাউ।
কলা পিঠা? বউদিকে বল,
বানিয়ে দেবে তাও।
বিয়ে বাড়ির গেট বানাবি
কলার গাছে পেপার মুড়ে?
কলার পাতায় বানিয়ে বাশি
ফুঁ কি দিবি প্যাঁ প্যাঁ সুরে?
চল তো দেখি,কলার গাছে
গ্রিজ মাখিয়ে দিলে
গাছের মাথায় রাখলে প্রাইজ
কার ভাগে তা মিলে?
আমরা এখন শহরবাসী
কোথায় কলার গাছ পাব?
কলার থোরল হাই প্রাইসে
কিনে এনেই আজ খাব!
সেই কলাগাছ লিখল
চিঠি আজ সময়ের খামে,
তাড়িয়ে নিয়ে চলল আমায়
ভবানীপুর গ্রামে।
১. ফাতর= কলাগাছ থেকে চিকন
করে ছাড়ানো দড়ি।
২.দারকিনি= দারকে বা অন্যান্য
আঞ্চলিক নামে পরিচিত ঝাক
ধরে বেড়ানো ছোট্ট চালাক মাছ
বিশেষ।
৩. ভুর= ভেলা।
৪. জাউ= ভাতের
চালে রাধা দুধবিহীন পায়েস।
গরীবের পায়েস।
৫. থোরল= কলাগাছের সবগুলো খাপ
ছাড়ানোর পর যে মূলকাণ্ড থাকে।
একে কাচা,ভেজে ও
রান্না করে খাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন