পৃথিবীটি বদলে গেছে !
আদিম জনগন, কতো কষ্ট করে –
একজন আরেকজনের ঘর বাধতেন ।
মিলেমিশে পশু শিকার করতেন ।
আত্মরক্ষার উপকরণ বানাতেন ।
আগুন জ্বালিয়ে আলোকিত করতেন ।
এভাবে চললো বয়ে সময় এগিয়ে. রেখাচিত্র পাহাড়ের মত –
শুণ্য থেকে শিখরে, শিখর থেকে বোধহয় আবার শুণ্যের দিকে যাত্রা ভালোবাসার ।
আমরা এখন অন্যের ঘর ভাঙতে শিখেছি !
আমরা অন্ধকার ভালোবাসতে শিখেছি !
আমরা ধ্বংস যজ্ঞের খেলা জানি !
অন্যকে ঠকিয়ে নিজে জেতার ধর্ম মানি !
আরো, আরো অধ:পতনের যাত্রী, বিবেক নি:শ্বেষ ।
শানে নুযুল শেষ ।
ঘুরে দাড়ানোর এখনই সময় ।
একটি ক্যু হবে !
অচিরে, বিশ্বজুড়ে !
সেনাবাহিনী অসংখ্য, কাতারে কাতারে সৈন্য !
শতকরা নিরানব্বইভাগই একাত্মতা জানাবে !
আমি নিশ্চিত – তুমিও সহযোদ্ধা হবে !
তবে !!!
প্রস্তুতি অসম্পন্ন !
অস্ত্র শানাতে হবে আরো !
নিখুঁত তীরন্দাজ হতে হবে !
আঘাত লক্ষ্য-নিশানা মোতাবেক চালাতে হবে ।
কোন ছাড় দেয়া হবেনা ।
পিছপা হওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা ।
ঢংকা বাজাও !
রটিয়ে দাও-
আকাশে, বাতাসে,
প্রান্তরে, প্রান্তরে,
প্রতিধ্বনিত কন্ঠ থেকে কন্ঠের ঝংকারে !
একটি ক্যু হবে !
অচিরে, বিশ্বজুড়ে !
ক্যু হবে !
ক্যু!
ভয় নাই !
এই যুদ্ধে একমাত্র যুদ্ধ উপকরণ – তীর !
ভালোবাসার তীর !
প্রেমের তীর !
কবিতার তীর !
কবি’র কোমল হাতের স্পর্শের তীর !
লক্ষ্য বস্তু –
মানবের বিবর্তীত হৃদয়-
যেথায় ভালোবাসার শক্তি হয়েছে ক্ষয় !
প্রতি তীরের সাথে বেঁধে দেয়া হবে চিরকুট –
ভালোবাসার চিরকুট ।
সাম্যের চিরকুট ।
মানবাধিকারের চিরকুট ।
মানব প্রেমের কবিতায়, কবিতায় –
স্বপ্নের পৃথিবী গড়ার প্রত্যাশায় –
একটি ক্যু হবে !
কবিতা ক্যু !
(কবিতাটি “কবিতা ক্যু” বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে।)