Skip to content

এভাবে

এভাবে অন্ধকার থেকে আলো সরাতে সরাতে আমাদের ছবি থেকে আমি ক্রমশ দূরে সরে যাই। বিকেলের কণে দেখা আলো দেখা হয়না । ছোঁয়া যায়না তুমি অথবা তোমাকে। এমিফিটামিন আমার চারপাশটায় একটা রুপোলি টিভিস্কৃনে।আটকে ফেলে আমায়, ঠিক যেভাবে দুবছর আগে মৃত ডাকহরকরার মেয়েটাকে আটকে ফেলেছিলো অজ্ঞাত অবয়ব।

আমি আজকাল কিছু মনে রাখিনা। মনে রেখে হবেটা কি? একটা পদ্মপুকুর অথবা নিরাপরাধ দিয়াশলাই এইতো, তাইনা। তাই আজকাল আমার মন থেকে যায় আটশ ছাব্বিশ চিঠি, সোয়ালক্ষ অলিখিত চুমু এবং মৃত্যু তোমাকে দেখতে থাকা চোখ এখন রোদ মাখে কপালে; ঘামে ভেজেনা ।আজকাল আমি সেই মেয়েটিকে চিঠি লিখি, চাদের থেকেও একা যে মেয়েটি আয়নায় দাড়িয়ে বুক থেকে আমার; সরিয়েছিলো পাথরের চাই।সিড়ির পায়ে জুতো জোড়া তুলে রেখে যে তুমি বুকে হাটো তোমাকে লিখছিনা অনেককাল।
মনে আছে সেই চিঠি সেই হলুদ খাম, মনে আছে। ডাকহরকরার মেয়ে ফিরে এসে একরাতে ঝুলে গ্যালো কোনার হিজল গাছে। কিন্তু তুমি; তুমি হয়ে উঠলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য যার সূর্যাস্ত নেই।

তাই দাঁতে ঠোঁট আকড়ে আমি বলছি এখানেই শেষ, এখানেই শেষ নার্সিসাস। এখান থেকে প্রমিথিউসের হাত ধরে একটা ফিনিক্স পাখি উড়বে। সেদিন আকাশে কোনো সীমান্তবর্তী গ্রাম থাকবে না , থাকবে না নিরাপত্তা চৌকি।

হয়ত একদিন সেই সময়েরা মরে যাবে – একদিন আমরা অনেকেই পাশ থেকে সিঁড়ি ভাঙবার সময় সেইসব স্নিগ্ধ মহিলাদের বাড়িতে গিয়ে উঠে যাবো রাতের অন্ধকারে, যারা হাতে হাত ঘষে আগুন জ্বালাতে সিদ্ধহস্ত। আমরা তাদের ভেতর গিয়ে আসন পেতে বসে হাসতে হাসতে সারারাত বলে যাবো ” এখানে বসন্ত নেই, শরীরবিদ্যুৎ তাপে আর চাপে ক্রমাগত সব গ্রীষ্মের অবিশ্বাস্য ঘামে ভেজা রাত আর বিদ্যুৎউৎপাদন কেন্দ্রের চলচ্চিত্র উৎসবে চিনিহীন গুনগুনে অর্থহীণ হয়ে যাবে উচ্চারিত সকল পবিত্র রাত, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।”

মন্তব্য করুন