Skip to content

এক বন্ধুর আত্মকাহন

স্মৃতিকে এক পলক দেখবার জন্য চেয়ে থেকেছে ঐ পথটা।
মনের আকিঞ্চনে ঐ পথটার ধারে করেছে কতবার পায়চারী,
তা জানেন শুধু বিভো,আর করেছে কত আহাজারি।
স্মৃতির মুখনিঃসৃত বাণী শ্রবণের জন্য, কেঁদেছে তার মন প্রাণ,
সাইন্স ল্যাবের কাছে দাঁড়িয়ে ছেলেটা গাইত বেদনা বিধুর গান।
সেই এক ঝড়ের দিন অপরাহ্ণে মনে জাগল ছেলেটার আশা,
হঠাৎ দেখা স্মৃতি সাথে তার বদনখানিতে নেইকো কোনো ভাষা।
তখন স্মৃতির আঁখি ছলছল করছিল বেশ,
আঁখিতে তেমন একটা স্বপ্ন ছিল না কিন্তু,
যার ছিল দীঘল কালো কেশ।
স্মৃতির বাহুদ্বয় সতত লাগত নকশা করে মেহেদি,
চরণ যুগলে পড়তো নূপুর আরও যেন কি কি।
কোনো এক বৈশাখী মেলাতে স্মৃতি ছিল মঞ্চের কাছে দাঁড়িয়ে,
তখন সে ছেলেটা স্মৃতির প্রাণে তাকিয়ে দুহাত দিয়েছিল বাড়িয়ে।

যদি হতো না কোনো কারণে স্মৃতির সাথে দেখা,
ছেলেটা সেই দিন থাকত বুভুক্ষা।
বলত না কো কভু কারো সাথে কোনো কথা,
উদাস মনে ঐ পলাশ বৃক্ষের নিচে বসে থাকত নিয়ে বিরহ ব্যথা।
সেই কি মান অভিমান শেষ হবার নয়,
যতক্ষণ না পর্যন্ত স্মৃতির দেখা হয়।
নিত্য নতুন চিঠি লিখে ঘুরত নানা জন,
তারা কেউ ছিল না স্মৃতির সেই ছেলেটার মতো সুজন।

উৎস্বর্গঃ
(রাসেল স্মৃতি )

রচনাকালঃ
২৪/০৪/২০২১

মন্তব্য করুন