Skip to content

একটি ভ্রূণের আত্মকথা – জয়া গুহ (তিস্তা)

নারী পুরুষ ভালোবাসায়
ফুলের কুঁড়ি শিশু
অদেখা এই আলোর কণা
ভবিষ্যতের যীশু

সবেই আমি ছোট্ট কুঁড়ি
সবেই তুমি ‘মা’
আগামীর সম্ভাষণে
একটি মাসে পা

শব্দ কিছু আসছে কানে
ভবিষ্যতের আশা
মডেলিং এর ব্যবধানে
আমি ই জিজ্ঞাসা

পুরুষ যিনি ‘বাবা’হবেন
আশীষ রাখেন সাথে
নতুন আমি হবার পথে
বিঁধলো কাঁটা বুকে

দু-তিন মাসেই হৃষ্ট পুষ্ট
আমার আবির্ভাব
ঠাকুরদাদা ভীষণ খুশী
মা এর বজ্রাঘাত
অন্ধকারায় বন্দী প্রাণের
সংগ্রামময় রাত
আশার আলো আসবে কবে
বলবে সুপ্রভাত?

এক এক দিনেই প্রাণ ধুকপুক
পাঁচটি মাসে পা
এক সকালে ছুরির আদর
‘হ্যাঁ’ থেকে হই ‘না’

আসা ও ছিল অন্ধকারে
মাতৃ জঠরবাস
জীবন পাওয়ার আগেই এল
মৃত্যুর সওগাত

দেহের বোঁটায় ছোট্ট প্রাণের
কেন আসা যাওয়া
এক ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে আলো
এক লাফে চাঁদ পাওয়া
আলোর জগৎ, রোশনাই আর
সুখ সম্পদ যত
বিশ্ব জগৎ এক করলে
আমার সমান হত

স্নেহ লজ্জা অবনত
চাঁদে জমল গোপণ ক্ষত।

জয়া গুহ-র কবিতার পাতায় যেতে ক্লিক করুন 

মন্তব্য করুন