Skip to content

আন্তন চেখভের সোয়ান সং অনুপ্রাণিত

যুবরাজ সিরাজের পোশাকে
অন্ধকার প্রসেনিয়ামে চিৎকার করলেন,
–কে আছিস, সহস্র স্বর্ণ মূদ্রা
বিলি করে দে ঐ বানভাসী নগরীতে!

কারো যেন শব্দ পাওয়া গেল
নিঃশ্বাস থামাবার? টুক করে কোথাও
কোন বেড়াল ফাঁকা অডিটরিয়ামের কোন সিটের নিচে
দুয়েকটা ইদুর চিবিয়ে খাচ্ছে, হয়তোবা।
এখন মঞ্চ চারিধার আঁধার কুকাব
কারা রবীন্দ্রনাথ করে চলে গেছে
বহু আগে, কাল অন্য দল করেছে মমতাজ উদ্দিন
আহারে! তাসের দেশের ঘর ভেঙ্গে পড়ে আছে
রাজা সারাক্ষণ সেজে রইলেন সার্কাসের সং!
কে যেন অঁধারে টুটিচাপা কান্নার স্বরে
বলে ওঠে, ওটা কস্টিউম নয় ওটা তো স্যার ড্রেস

–সিরাজ?

ঘন নীল অন্ধকারে সাজ ঘরে টেবিলের ঘুপচি কোণ ছেড়ে
উঠে বসে মঞ্চের কারিগর, সিরাজ
যুবরাজ তখনো সিরাজের মেজাজে, –সিরাজ,
তুই এখনো এখানে?’

–বাড়ি ভাড়া দিতে পারি নি তিন মাস, দাদা
ভেবেছিলাম রাতটা কাটাবো এই গ্রীরুমে লুকিয়ে,
স্বস্তিতে ঘুমিয়ে আজ ছ দিন পর।
আপনার গলা শুনে উঠে এসেছি আমি, যদি কিছু লাগে!

–আমার গলা তাহলে এখনো চেনা যায়?’
–কে না চেনে থিয়েটারে, আপনার এই দরাজ গলায় বলা,
বাংলা বিহার উড়িশ্যার নবাব…’
–আজ বারোটা বছর কোন সংলাপ বলিনি
বলতেও বলেনি কেউ কোনো,
সাথে সেক্সপেয়র, রবীন্দ্রনাথ, হক ভাই,
চেখভ, ইবসেন, স্ট্রিন্ডবার্গ। সব বুক ভরে আজ আওড়াবো
তাই এসেছি সবার চখের আড়ালে।
তা হ্যারে, তোর এ বিপদ, আমায় একবারও বলিসনি কেন, ভাই?

স্টেজের সিরাজ মাথা নুঁয়ে থাকে।

নবাব সিরাজের গলায় যুবরাজ ওঠেন হেসে,
— ও হো, হো!
তুইও, সিরাজ, জেনে গিয়েছিস
সময়ের স্রোতে নবাব ভেসে চলে গেছে বহু দূর!
যুগ যুগান্তর পিছে!

মন্তব্য করুন