Skip to content

আজ তিরিশ কিংবা শত বছরের পরেও

হ্যা আমারোতো খুব তোমারে মনে পড়ে
তোমারো কি তবে … !

শীতের কুয়াশাময় রাত, বাড়ি ফিরে যাওয়া
বড় দেরী হয়ে গেলো সে দিন
তুমি জানো –আজ কপালে না জানি কী আছে।
হয়তো সে তোমার
সারা শরীর জুড়ে খুঁজে বেড়াবে
প্রেমের একটা নখর চিহ্ণ
অথবা চুমুর দাগ গলায় ঘাড়ে কিংবা
দেহের অন্য কোনো গোপন কোমল
বাঁকে!

তুমি বলেছিলে, এ সব আজকাল
একঘেয়ে গা সওয়া হয়ে গেছে।
সীমান্ত প্রহরীর মতো খানা‐তল্লাসী
হাতেনাতে ধরা পড়া কালো বাজারী সুখ
আদর, বা যাকে বলে প্রেম
সেই প্রেম চুরি করা!
তবুও আমার ফাঁসীর আদেশ হয় না কেনো,
রেগে উঠে বলে না সে কেন -যাও,
যাও না আমার জীবন থেকে দূরে।

গাছের মত অটল থাকি বাকলছাড়া হয়ে।

কলের ঘরে ঝর্ণা তলে বুকের পাথর ভেঙ্গে
তোমার সকল ছোঁয়া গুছিয়ে উঠিয়ে রাখি
ঠান্ডা পানির শ্রোতে ভেসে গহীন সংগোপনে
মঞ্চে যাবার আগে যেমন অঙ্গ সজ্জা….
আয়না সুমুখে আদুল ভিজে গায়ে
ভিজে চুল, মুখময় বিন্দু বিন্দু নদী
ছড়িয়ে ছিটিয়ে গড়িয়ে পড়ে পায়ে
তবে কি আবার স্ত্রীর সাজ নেবো
নাকি হাতে তুলে নেবো অভিসারিকার লাজুক চোখে
নিষ্ঠুরতার তরবারী আজই

আজো কি অমন হঠাৎ চমকে উঠে রাতে
ভাবতে বসে পড়ো
ফিরে যাবো না আসবো ফিরে

হ্যা আমারোতো খুব তোমায় মনে পড়ে
তোমারো কি তবে আমায় মনে পড়ে আগের মতোই
আজ তিরিশ কিংবা শত বছরের পরেও

মন্তব্য করুন