Skip to content

স্নানযাত্রা

পুন্য উৎসব স্নানযাত্রা।সে প্রায় সাড়ে আটশো বছর আগের কথা। সেদিন ছিল জগন্নাথের জন্মতিথি।জৈষ্ট্য মাসের পূর্নিমা তিথি। বর্ষা তখনও কলিঙ্গে প্রবেশ করেনি। বাতাসে যথেষ্ট আদ্রতা রয়েছে। তাপমাত্রা ও বেশ অসহ্য।যাইহোক মহাধূমধাম করে জগন্নাথ, বলভদ্র,ও সুভদ্রাকে আগের দিন সন্ধ্যায় স্নান বেদীতে এনে বসানো হল। পরদিন স্নান।
যথাসময়ে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন উপস্থিত। প্রধান পুরোহিত ও প্রস্তুত।কিন্তু বাধ সাধলেন রাজজ্যোতিষী। তিথি এখনও অনাগত । সূর্যাস্তের আগে কোনভাবেই স্নান সম্ভব নয়।অতঃপর বেগতিক। তুলসী পাতার নির্যাস বিগ্ৰহের সারা অঙ্গে লেপন করা হল। যাবতীয় সংক্রমণ মুক্ত করার পর চারপ্রহর খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে রইলেন দুই ভ্রাতা ও এক ভগিনী। সান্ধ্য মূহুর্তে
মন্দিরের উত্তর দিকের ইদারা থেকে হিম-শীতল ১০৮ কলস জল এনে স্নান করানো হল দেবদেবীদের। ভারতবর্ষের একমাত্র জীবন্ত দেবদেবী।পরিয়ে দেওয়া হল
গজবেশ।কি! অপরূপ সেই সাজ।কিন্ত পরদিন ঘটল বিপত্তি।
তিন বিগ্ৰহের শরীরেই অসম্ভব তাপমাত্রা।ডাক পড়ল রাজবৈদ্যর। তিনি বিধান দিলেন। বিগ্ৰহদের প্রথমত গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হবে।এবং পারস্পরিক দূরত্ত্ব বজায় রাখতে হবে। অন্ততপক্ষে চোদ্দদিন।তার সঙ্গে চলবে আয়ুর্বেদিক পাচন।আজও এই অবস্থাকে “অনসর”বলা হয়।পনের দিন পর যথারীতি জগন্নাথ,বলরাম,সুভদ্রা সুস্থ হয়ে উঠলেন।মহা ধূমধাম করে রথযাত্রা উৎসব পালিত হল।
——–বানীব্রত

মন্তব্য করুন