Skip to content

সোনারঙা রোদ্দুর — নীল অঞ্জন

ফাগুনে, ঠিক সরস্বতী পূজোর দিন,
মেয়েটা যখন প্রথম বাসন্তীরঙা একখানা
শাড়ি জড়িয়ে ছিল নিজের শরীরে,
আদর করে শাড়িটাকে জড়িয়ে ধরে
বলেছিল, তুই আমার বসন্ত হবি?

এরপর পালাক্রমে খ্যাপা গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা,
ভেজা বর্ষা থেকে মেঘের ভেলায় ___
ভাসতে, ভাসতে, ভাসতে এসেছে শরৎ।
শরৎ থেকে নতুন ধানের মৌ-মৌ গন্ধ
শরীরে জড়িয়ে এসেছিল হেমন্ত,
তারপর দুরন্ত শীত, শেষে আবারও বসন্ত!

সবগুলো শাড়ির প্রত্যেকটিকেই
জড়িয়ে ধরে এভাবে একটি করে চমৎকার
নাম দিয়েছিল মেয়েটি, ভালবেসে।
কোনটির নাম দিয়েছিল পাগলামি,
কোনটির বা বকুল ফুল, কোনটি সন্ধ্যে-তারা।
আবার কোনটিকে বুকে চেপে বলেছিল
তুই আমার সোনারঙা রোদ্দুর!

এমনিভাবে নাম রাখতে, রাখতে, রাখতে,
কখন যে ঝুপ করে বেলা গড়িয়ে এলো!
সকলে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো,
একসময় ভালবেসে শাড়িদের নাম রাখতো
যে পাগল মেয়েটি! হঠাৎ করেই ___
তার নিজের নামটিই কেমন পালটে গেল।
ছিল পাল, হলো সরকার, কিংবা অন্যকিছু!

বিয়ের পরে ও তেমনি ভাবে শাড়িদের
ভালবেসে নাম রেখেছিল মেয়েটি।
কোনটির নাম ছিল স্বপ্ন, স্পর্শ, অভিসার,
এমনি ভাবে স্নেহ, মমতা, প্রেম, কর্তব্য
আবার কোনটার বা নাম রেখেছিল সংসার!
কিন্তু সে যেমন ভাবে ভালবেসে,
শরীরে জড়িয়ে ছিল শাড়িদের।
কোন শাড়িই তার সমস্ত জীবনে
ভালবেসে জড়াতে পারেনি মেয়েটিকে।
কোন শাড়িই বসন্ত ছুঁয়ে ___
সোনারঙা রোদ্দুর হতে পারেনি!!

মন্তব্য করুন