Skip to content

বড় ছেলে – ২ – মোহাম্মদ মকিজুর রহমান

  • by

পাঁচ বছর পর……….
রিয়া, কেমন আছো?
আমি রাশেদ বলছি।
জানো তোমাকে অনেক মিস করি,
তোমার দেওয়া হাত ঘড়িটা আমার অনেক পছন্দ
হয়েছে।
আমি রোজ হাতে দিয়ে ঘর থেকে বের হই…..
তোমার দেওয়া জিনিস কি আমার অপছন্দ হবে
বলো?
এখন আমার মোবাইলে সবসময় চার্জ থাকে,
কারন তোমার দেওয়া পাওয়ার ব্যাংকটা সবসময় আমার
সাথে থাকে।
বাবা, মা, ভাই, বোন সবাই কল দেই, শুধু তুমি ছাড়া।
রোজ যখন গাড়ি করে যাওয়ার সময় শরীর ঘামিয়ে
পড়ে তোমার দেওয়া আইস টিসু দিয়ে ঘাম গুলো
মুছে ফেলি, আর কষ্ট লাগে না।

সারাদিন কাজ করে বাসায় ফিরে তোমার সাথে কথা
বলি, তোমার দেওয়া ডাইরির সাথে।
তুমি বলেছিলে হুট করে এসে একদিন এই ডাইরী
চেয়ে বসবে।
তাই তোমার দেওয়া ডাইরির সাথে রোজ কথা বলি।
তোমার দেওয়া চকলেট গুলো জেসির খুব পছন্দ
হয়েছে।

ওহ, তোমাকে তো বলতেই ভুলে গেছি।
আমার অনেক বড় চাকরি হয়েছে…..
বাবার ডায়বেটিসটাএ কমে গেছে।
বোনের দোকান ও এখন বেশ ভালো
বেচাকেনা হচ্ছে।
ছোট ভাইটা ও এবার HSC তে (GPA5)পেয়েছে।
জানো তোমার আর আমার ব্যাপারটা আমার পরিবারের
কেউ জানে না।
শুধু একজন ছাড়া, সে হচ্ছে জেসি।
তোমার দেওয়া চকলেট গুলো যখন তাকে
দিয়েছি,
তখন সে খুব খুশি হয়েছিলো।
সে আমাকে বললো এগুলো কে দিল মামা?
আমি ঐ অবুঝ শিশুকে মিথ্যা বলতে পারিনি।
বলে দিয়েছিলাম তাকে তোমার কথা।
আজ সে অনেক বড় হয়েছে, ক্লাস ৩য় তে
পড়ে।
আমাকে ভিষন বিরক্ত করে,
তাকে তোমার কাছে নিয়ে যেতে চাই;
কিন্তু আমার পক্ষে তো সেটা সম্ভব না।

এখন আমাদের পরিবার অনেকটা অভাব কেটে
উঠে দাড়িয়েছে।
দেখতে দেখতে ৫ বছর কেটে গেলো।
জানো আমি এখন কোথায় বসে আছি?
যেখানে বসে আমি তোমাকে বাদামের খোসা
ছড়িয়ে দিতাম ঠিক সেখানে বাদাম নিয়ে বসে আছি,
সব ঠিক অাগের মতোই আছে নেই শুধু তুমি।
খুব জানতে ইচ্ছে করছে তোমার সংসার জীবন
কেমন চলছে?
শুনলাম তোমার নাকি মেয়ে হয়েছে?
সে দেখতে নিশ্চই তোমার মতো কিউট?
আজ তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।
এখন আমার চাকরি হয়েছে কিন্ত এমন সময় পেলাম
তুমি নেই পাশে, বড় অসময়ে পেলাম।
তুমি হয়তো সারাজীবন দোষারোপ করবে
আমাকে, কিন্তু কি করব বলো?
আমি তো পরিবারের বড় ছেলে কাঁধে অনেক
দায়িত্ব।

বড় ছেলেদের প্রেম করতে নেই হয়তো।
তোমাকে অনেক মিস করি না।
তবে মাঝরাতে কখনো একটু আকটু মনে
পড়ে যায়।
তখন কাঁদিনা, একটু মন খারাপ করি।
কারন বড় ছেলেদের কাঁদতে নেই।
তোমার দেয়া শার্ট টি আর কখনো পড়া হয়নি।
কারন তুমি তো আর দেখবে না,
কি আর হবে মায়া বাড়িয়ে বলো?
বড় অসময়ে ডিপ্রেশন গুলো কমে গেলো।
অসময়ে সব পেলাম যখন তুমি নেই পাশে।
তার পরও পারিবারিক ভাবে মা,বাবা,ভাই,বোনদের নিয়ে সুখেই আছি।
আর ও হ্যাঁ আরেকটা কথা অনুরোধ ও বলতে
পারো।
তোমার যদি ছেলে হয় তবে নামটা রাশেদ রাখবা
প্লিজ!!!

মন্তব্য করুন