সভ্যতার পর সভ্যতা পার করে
হলুদ সরষে ক্ষেতে যে পাখি আজও খুঁজে যায়
বুলেটে দাগ লাগা প্রিয় সঙ্গীর পালক;
তার রক্তের রং উদারতা।
নীল ফ্রক পরা মেয়েটার বাবার
একটা বাঁশি ছিল।
ঘুমের বাহানায় শুনেওছিল
রেলে কাটার ঠিক দু’দিন আগে;
সেই বিষন্নতা মাখা কাছে আসার ডাক
তারপর যেন সব আলোকবর্ষ দূর হয়ে গেল।
দু’দন্ড সূর্য দেখার জন্য
আঁধার বেচাটা ব্যবসা নয়।
ধানের আলপথ দিয়ে হেঁটে গেছে
কত ইতিহাস-ভূগোল
সে পথে কিশোরী ও একটা বুনোহাঁস।
এখনো মাঝরাতের ঘাসকুয়াশা থেকে
সেই কিশোরীর অন্ধকার চুলের গন্ধ পাওয়া যায়,
বহু আগেই সে গন্ধ পেয়েছিল কবি আর পাগল।
আমরা যাকে জেগে ওঠা বলি
সেটা শুধু বিছানা থেকেই।
একেকটা উন্মাদী রাতের ভিতর মৃত জুঁই-বকুল
আর একটা পাথরের মাছরাঙা
গলায় ঘাসফুল, চোখে কলাপাতার কাজল।
বনলতা, খোঁপা খুলে মুছে দাও কাজল
দেখো নাটোর উঠে এসেছে সোনাগাছিতে।