Skip to content

দধীচির দান- সীতামায়ের অবদান

ঘাম রক্তে রঞ্জিত চব্বিশ
পাঁজরাগুলো গো শকটের চাকা
ঢিকঢিকানি চলছে যতক্ষণ
ততক্ষণই জলের দাগ আঁকা,

জল ছাড়া আর অন্য রঙ কই
জলটুকুই তো ভরসা ছিল খুব
সে জল নিয়ে কলতলাতে বুড়ি
কলহেতে বিকল লাব ডুব,

কিন্তু মায়ের কই মাছের প্রাণ
রক্তবিহীন ধমনী কপাটিকা
স্রোতবতী নদী প্রবাহিত
একদিন তো জানবে সব ফাঁকা,

ক্ষুধা বড় অসহ্য ঘ্যানঘেনে
পাউরুটিটা যেমন তেমন হোক
ভাতের চালের খোঁজে ফেরে বুড়ো
নিরক্ত, তাও শরীর জুড়ে জোঁক,

জোঁক কোথা ,ও মানবশিশু
মাতৃদুগ্ধ খোঁজে
অমৃত সব রাহুর ভোগে
জলের ধারা বাঁচে,

অপুষ্টি তাই শরীর জুড়ে
হাড়কঙ্কাল সার,
স্কুলের ছেলে পিলের দল
ষাটের ঘর পার,

ছোট্ট শরীর কোথায় লুকায়
শরীরে নাই মেদ
তবু খোকা খুকু সুখে
একটুও নেই খেদ,

বন্ধু বান্ধবীর দল
কেউ ঠেলেনি দূরে,
সবাই ওরা বন্ধু ছিল
হাতটা পিঠে ঘাড়ে,

ঘাড়টা কিন্তু বেঁকেই গেল
জোয়াল টেনে টেনে
ওদের বাবার বিশাল হৃদয়
জমল ধূলো মনে,

এমন কত অসংখ্য জন
পেরিয়েছে সেই দিন
ভুলিনি ও চাই না ভুলতে
জমা থাকুক ঋণ,

ঋণ করে তো ঘি খাই নি
মাটিই পাওনাদার
মাটি মায়ের ঋণ শুধব
এমন সাধ্য কার,

সাধ্য তবে অনেকখানি
মায়ের জন্য জান,
শত্রু এলে প্রতিরোধে
নয় শঙ্কায় প্রাণ,

দধীচি পিতার পাঁজর দিয়ে
আমার পাঁজর গড়া
সীতা মায়ের সুধাধারায়
আমার হৃদয় ভরা,

ভাত পাইনি ,চেয়েছিলেম
হয়তো কিছুক্ষণ
নিজের খাবার আনলে চেয়ে
খাবে বাছাধন,

বাংলাদেশের মা বাবারা
প্রবল পরাক্রমী
খিদে তেষ্টা ভুলে উজাড়
স্নেহ সনাতনী,

তোমাদেরই রক্তধারায়
আমার শোণিত স্রোত
তোমাদেরই নামে ভাসাই
বিজয় রণপোত,,,,,,,,,

/////১৮/০৪/২০২১///বাংলার মা- বাবা////

মন্তব্য করুন