Skip to content

তোমাকে শত ধিক্

তোমাকে শত ধিক্
————–এস.আই.তানভী

জীবনটা কি এতই তুচ্ছ?
আহ, একটা অণু শুক্রাণু ডিম্বানুর সাথে মিলিয়ে
এক ফোটা রক্ত, তারপর হাত-পা, চক্ষু-নাক-কান
মুখমণ্ডল ইশারায় হলেও অনেক যতনে
এঁকেছেন এক সৃষ্টিকর্তা— আল্লাহ, ভগবান,
গড, ঈশ্বর, প্রভু, স্বামী যা-ই বলো।

মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে আসার সময়
যে ব্যথা উপহার দিয়ে আসি, তা কোন দিনও
কোন মানুষের অনুমিত হতে পারে না
মা কত কষ্ট করেছে, তবুও কোন দিন দাম চায় নি।
বাবা যেদিন জানতে পারে, তুমি-আমি-আমরা
আসার অপেক্ষা আছি
শুরু হয় তার হাজার পরিকল্পনা
তিল তিল করে বড় করে, স্বপ্ন দেখে।

আমরা এক লাফে বড় হই নি, জানোয়ারের মতো
জন্মের সাথে সাথে হাটতে শিখি নি
খেতে শিখি নি, সাঁতার কাটতে শিখি নি।

সেই সৃষ্টিকর্তার দয়া, ইশারা, মা-বাবার নিরলস শ্রম
বন্ধু-বান্ধব, পাড়াপড়শির প্রেম, গুরুজনদের শাসন
প্রকৃতির উদারতা প্রত্যেক জীবনকে বড় করে তোলে-
অথচ; সবার কথা ভুলে তুমি আত্মহত্যা করো!
হোক না তোমার হাজার কষ্ট, শূন্যতা
এমন সিদ্ধান্তকে আমি মানতে পারি না
ধিক্ তোমাকে শত ধিক্।

ইচ্ছে করে তোমার লাশের গলা চেপে ধরে বলি-
জীবনটাকে যারা বড় করেছিলো, তাদের ঋণ
শোধ করে যাও —— ওহে পাপিষ্ঠ।”
————————-
০৩/০৭/১৮ইং

মন্তব্য করুন