Skip to content

তুমি- শুভঙ্কর দাস

তুমি না থাকলে জীবনটা হত কেমন !
আমি স্বপ্নেও করতে পারি না কল্পনা।
জীবনে শুধুই তুমি , সাতকুলে নেয় তো কেউ।
মনে কী পরে! সেই দিনটির কথা।
কলেজের নাম করে ,বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলে।
দুজনে পালিয়ে করেছিলাম বিয়ে।
যখন জানালে তুমি করেছ বিয়ে ,
তখন তোমার বাবা বলে ছিলেন-
নেই তো আমার মেয়ে।
কোন উত্তর না দিয়ে রেখেছিল ফোন।
তুমি মায়ের সাথে কথা বলার জন্য,
অনেক বার করেছিলে ফোন।
তোমার স্বর শোনা মাত্রই কেটেছে ফোন।

তারপর বিয়ের প্রথমটা ভালো কাটালেও,
পরে অভাব অনটনে শুকনো পাতা হয়ে উঠেছিল।
ভগবান কিন্তু দেয় নি বেশি কষ্ট,
চাকরিটা পেতেই জীবনে এল আনন্দ।
তোমার মনে কিন্তু বাবা,মা হীন
রয়েই গেল কত কষ্ট।

সেদিনের কথাটা তোমার মনে পরে,
যেদিন তুমি হঠাত্ হলে অসুস্থ।
আমি কিন্তু সেদিন খুব হয়েছিলাম ভীত।
এই তো কিছু দিনের কথা,
তারপর ডাক্তার দেখালাম।
অনেক রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিয়েছিল করতে।
তারপর ঘটল ঘটনা
যার ফলে তোমার জীবনটা গেল বদলে।
আমি শোনা মাত্রই করেছিলাম ফোন,
তোমার মা ধরেছিল ফোন।
ডাক্তার বলেছিল –
এখন মাত্র দিনগোনার অপেক্ষা।

তোমার শরীরে ঘটল পরিবর্তন।
তোমার মা পারেননি থাকতে ,
এসেছিলেন তোমাকে দেখতে।
তোমার মা বলেছিলন-
তোর বাবা কথাটা শুনে আমাকে ,
আটকে রাখেনি আর।
করে দিয়েছেন ব্যবস্থা আসার এখানে।
আর বলেছে -নাতি হোক বা নাতনি ,
খবর পেলেই আসবেন তিনি।

আমরা বিয়ের পর কোন অনুষ্ঠান করিনি,
এই বার প্রথম।
চারিদিকটা ভালো করে দেখে নাও,
কিছুক্ষণ পরেই তো সবাই আসতে শুরু করবে।
এই তো তোমার বাবা এসেছে,
তুমি ফটো দেখিয়েছিলে তোমার মোবাইলে।
তাহলে তোমার সব দুঃখ ,
দূর হল আজকে।
তোমার ভাইও এসেছে, কী সুন্দর মালা হাতে
তোমাকে পড়াতে বলল।
আমি যত্ন করে পড়িয়ে দিলাম তোমার ফটোতে।
তোমার বাবা অনেক কেঁদেছিল হাসপাতালে।
যখন জানতে পারলাম,
তুমি তোমার মেয়ে নিয়ে চলে গেছ ,
সেই অদৃশ্য লোকে।
যেখান থেকে তুমি ফোন করবে না,
আর আমার এই কথাও শুনবে না।
সেখানে তুমি, তুমিই রয়ে যাবে ,
যাকে আর কেউ কোন দিন দেখবে না।
কিন্তু তুমি কথা শুনতে না চাইলেও ,
আমি কথা বলেই যাব।
ফটোর সামনে বসেই থাকব ,
যতক্ষণ না বলবে কথা বলনা আর তুমি।

মন্তব্য করুন