এক মগ চাঁদের আলো
চাঁদের বউ এর হাতে লেগে
উল্টে পড়ে গেল।
সন্দেশের মেঘ ভেসে চলে যায়
পিপড়ে গিন্নীর মাথার উপর দিয়ে,
তার হৃদয় আবদার করে বসে।
চাঁদের সবথেকে কাছে
সবচেয়ে উঁচু, পুরনো যে তেঁতুলগাছ,
সেই আলো নামতে থাকে
তার বাকল বেয়ে মাটিতে,
যেখানে ঘর বেঁধে থাকে দুটি পিপড়ে।
চাঁদের বউ দেখে,
করবী গাছের নীচে
পুরুষটি ঘামে ভিজে
বউকে জড়িয়ে ধরে।
এলোচুল ঘেটে দিয়ে
এলোমেলো হাওয়া ঠেলে
এসে দাঁড়ায় তেঁতুলগাছের কাছে।
তা দেখে তেঁতুলগাছ
দু’হাত বাড়িয়ে দেয়,
তার দেখানো পথে
পিপড়েরা উঠে যায়
হাত ধরাধরি করে।
সবচেয়ে উঁচু ডালে
একটা তেঁতুলপাতা
বেছে নেয় দু’জনে মিলে,
তেঁতুলপাতায় শুয়ে
দু’জনে আকাশ দেখে,
চাঁদের আলোয় স্নান করে
পড়ে শোনায় হৃদয়
আর দূর থেকে সাদা পেঁচা
উড়ে গিয়ে মিশে যায়,
মিশে যায় সাদা মেঘে।
উড়ন্ত সাদা মেঘে
একঝাঁক সাদা বক,
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তারা হাতড়ায় ঘরণীকে।
একটি তারার আলো,
দূর থেকে এসে পড়ে
যখন তাদের উপর,
পিপড়েটি তার সফলতম শ্রমটুকু
দিয়ে দেয় গিন্নীকে-
মন করে কৃষিকাজ
তারপরে শুধু তারা
পাশাপাশি শুয়ে থাকে।
তাদের মুখের অনেক কাছে
নেমে আসে
আঙুরের মতো আদুল আকাশ
ফেরার পথে পিপড়ে
লুকিয়ে রেখে এসেছে
একটা পাকা আতা
হঠাৎ বউ এর হাত ধরে টান দেয় সে-
নেমে আসে বউকে পাঁজাকোলা করে
এখন তারা যাচ্ছে আতাগাছতলায়।